ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ভুটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পাশে বছরখানেক আগে একটি গ্যাস সিলিন্ডার রাখার গুদাম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যেমন ঝুঁকিতে রয়েছেন তেমনি অভিভাবকরাও থাকেন আতঙ্কে। জানা গেছে, সেখানে অধিকাংশ সময় কয়েক হাজার গ্যাসের সিলিন্ডার মজুদ থাকে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের বিভাগীয় অফিস থেকে এটার অনুমোদন নেয়া হয়েছে। তাছাড়া এখানে গ্যাস ভরা হয় না, গ্যাসভর্তি সিলিন্ডার রাখা হয়। এ কারণে ঝুঁকি খুবই কম বলেও তারা জানিয়েছেন। এ নিয়ে সহযোগী দৈনিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এ তথ্য জানা যায়।
সম্পাদকীয়তে আরও জানা যায়, শুধু যে স্কুলের পাশে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম রয়েছে তা নয়, এ রকম অবস্থা সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাড়া-মহল্লায় এবং অলিতে-গলিতে রয়েছে। আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে নানা প্রতিষ্ঠানের পাশে এসব গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম রয়েছে। যেগুলো অনুমোদনহীনভাবে স্থাপন করা হয়েছে। ফলে সেসব আবাসিক এলাকা, পাড়া-মহল্লা এবং অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কারণ যে কোন সময় যে কোনো মুহূর্তে কোন না কোন কারণে এগুলো বিস্ফোরিত হয়ে প্রাণহানি ও সম্পদহানি দুটোই ঘটাতে পারে।
যত্রতত্র এ গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম দেয়া হলেও সেটা দেখার কেউ নেই। কারণ স্বয়ং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষই অবৈধভাবে যেখানে-সেখানে গুদামগুলোর অনুমোদন দিয়েছে।
ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের পাশে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম স্থাপন করাটা হচ্ছে তারই একটি উদাহরণ। যেখানে তাদের উচিত গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম যেখানে-সেখানে যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করা, সেটা না করে তারাই উল্টো এ অবৈধ কাজটি করে যাচ্ছে।
আমরা চাই, এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখবে যে দেশের কোথায় কোথায় গ্যাস সিলিন্ডারের গুদাম রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলো সেখান থেকে সরিয়ে একটি স্থান নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং অথবা নিয়ম করে দিতে হবে কোথায় রাখা যাবে এবং কোথায় রাখা যাবে না। সেই সঙ্গে ভুটিয়ারগাতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ভবন থেকে এ গ্যাস সিল্ডিারের গুদাম অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নিতে হবে। জেলার ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ কেন এ কাজটি করল, এজন্য তাদের কাছ থেকেও জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।