দুটি বিদ্যালয়ের খেলার প্রশস্ত মাঠ দখল করে মাসব্যাপী মেলা বসিয়েছে বাংলাদেশ হস্ত ও কুটিরশিল্প ফাউন্ডেশন। যে মাঠটিতে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী নিয়মিত খেলাধুলা করতো। প্রশস্ত মাঠটিতে মেলা সম্প্রসারণে দিনরাত কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করা হচ্ছে। শ্রীপুরের মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও মাওনা জেএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এটি।
এদিকে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট ও শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ রেখে মাঠের মধ্যে কোনোভাবেই মেলা হতে দেবে না এলাকাবাসী। অভিভাবক মহল, ছাত্রছাত্রী, রাজনীতিক ও স্থানীয়রা এই মেলা বন্ধের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। তবে আয়োজকরা বলছেন, নিয়মনীতি মেনে প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শত শত মানুষ মেলার কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। ভাঙচুর চালিয়েছেন প্যান্ডেল ও বিভিন্ন স্টলে। তবে গতকাল শুক্রবারও আয়োজকরা মাওনা স্কুল মাঠে মেলার প্রস্তুতি হিসেবে প্যান্ডেল নির্মাণ, সাজসজ্জা ও স্টল তৈরির কাজ করেছেন।
আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েই তারা মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন করছে।
মাঠে মেলার প্রস্তুতি চলার কারণে বই উৎসবের দিন শ্রেণিকক্ষে বসেই ওই দুই স্কুলের শিক্ষার্থীরা নতুন বই নিয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সিরাজ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও শ্রীপুর থানার ওসির কাছে মেলা বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
বাংলাদেশ হস্ত ও কুটিরশিল্প ফাউন্ডেশন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল গনি মিয়া বলেন, আইন মেনে এ আয়োজন করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন। এলাকাবাসীর অসম্মতি থাকলে সেটা বাতিল করা হবে।
গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেলার আয়োজন বন্ধের জন্য একটি আবেদন করেছেন থানায়। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।