নাটোরের সিংড়া উপজেলার দামকুড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি বসত ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভবনটি নির্মাণ হলেও আইনি জটিলতা এবং অবৈধ দখলদারদের কারণে দখলমুক্ত হয়নি। উপরন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে শিক্ষকরা স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। জোরপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করে বসতবাড়ি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র মহসিন সরদার, জিয়ারুল ইসলাম, মতিজান, রোজিনাসহ আরও অনেকে জানান, স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর আমরা ক্লাস করেছি। সরকার থেকে ভবন করে দিয়েছিলো। ভবন এখনো রয়েছে। কিন্তু ভবনটি বেদখল থাকায় ভয়ে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। সেখানে ওবায়দুর নামের এক পরিবার বসতভিটা হিসেবে বসবাস করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক পুলিশ সদস্য মোজাম্মেল হক দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, স্কুলটি গ্রামের জন্য বিশেষ প্রয়োজন। কারণ অত্র এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দূর দূরান্তে গিয়ে ভর্তি হতে হয়। দুর্গম এলাকা বিধায় অনেক কষ্টে তারা পড়ালেখা করে আসছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও অত্র স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সুলতান আহমেদ দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, স্কুলটি দীর্ঘদিনের গ্রামবাসীর দাবি। কিন্তু একটি মহল স্কুলের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে পায়তারা করছে। স্কুলের নামকরণ বিষয়ে হারান মোল্লার মামলায় সরকার ডিগ্রি পায়। পরে হারানের পুত্র ওবায়দুর পুনরায় মামলা করে। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে।
ওবায়দুর স্কুলের জায়গা নিজের জায়গা দাবি করে বলেন, মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে, আমার ছেলে লেখাপড়া করছে, তাকে যদি স্কুলে চাকুরি দেয়া হয় তাহলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, স্কুলের ভবন দখল হওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম নেই।