বরিশালের উজিরপুরে সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে একটি স্কুল। এটি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আশোয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মানববন্ধন, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীর ভাঙ্গনে গত কয়েক বছরে গুঠিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। এতে গৃহহারা হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কয়েক হাজার মানুষ। এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন সময়ে দাবি জানিয়ে আশানুরূপ কোনো ফল পায়নি বলে অভিযোগ করেছে।
স্কুলটি রক্ষার ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোসলেম হাওলাদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, কিছু দিন আগে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি স্কুলের বেহাল দশা দেখে কিছু বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলার ব্যবস্থা করেন; কিন্তু তা খুবই অপ্রতুল। ঠিকাদার দায়সারাভাবে কাজ করে গেছেন। সেই বস্তার অধিকাংশই পানিতে ধুয়ে গেছে। বর্তমানে নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এখন প্রবল স্রোতে নিচের মাটি সরে গিয়ে স্কুলের বিরাট অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ক্লাস নেয়া ঝুঁকিপূর্ণ। আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসছে না। বাধ্য হয়ে স্কুল বারান্দায় ক্লাস নিতে হয়।
এ ব্যাপারে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. দেলোয়ার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, স্কুলটি রক্ষার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রীর নির্দেশে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জিও ব্যাগ ফেলেছে; কিন্তু তা অপ্রতুল। ওই কাজ যে ঠিকাদার করেছে, সে ঠিকমতো করেনি। তাই এখন কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে স্কুলটি রক্ষা করা যাবে না। তবে আমরা বিভিন্নভাবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম ওই এলাকা প্রবল স্রোতের কারণে ভাঙন প্রবণ বলে স্বীকার করেন। বিশেষ বরাদ্দে স্কুল এলাকায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার ৪১৩টি বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে, তবে নদীর গভীরতা অনুযায়ী যে বস্তা ফেলা হয়েছে তা অপ্রতুল বলে স্বীকার করেন তিনি। তবে বরাদ্দ পেলে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।