স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

যশোর প্রতিনিধি |

যশোরের চৌগাছায় হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের কাছে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ৫ ব্যক্তি।

অভিযুক্তরা হলেন হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রবিউল ইসলাম মৃধা ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম। অপরদিকে অভিযোগকারীরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, জিল্লুর রহমান, ওমর আলী, মকছেদ ও আমিনুর রহমান লাল্টু।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়,  হাকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ বারের স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম মৃধা ও প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম একত্রে স্কুলের সকল সুবিধা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। তাদের দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে স্কুলের শিক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। সভাপতি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ৬ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগে ১১ লাখ টাকা অর্থ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ তাদের।

অভিযোগে আরও জানা যায়, গত ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে স্কুলে তৌহিদুজ্জামান নামে একজনকে অফিস সহকারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ দিতে তৌহিদুজ্জামানের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা ঘুষ নেয় সভাপতি। কিন্তু নিয়োগের আগেই সভাপতি অন্য আরও একজন প্রার্থীকে দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করেন। তখন তৌহিদুজ্জামান টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে তার দাদা মাজিদ খানের নামে ২৮ শতক জমি সভাপতির মেয়ে গুলফা পারভিন মুক্তির নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। গুলফা পারভিন মুক্তি হাকিমপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন।

এছাড়াও সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুজনে মিলে আরও দুজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা কর্মী মুস্তাফিজুর রহমান ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী আফরোজা খাতুন। নিয়োগের জন্য তাদের কাছ থেকে ১১ লাখ ও ৭ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। 

সভাপতির দুর্নীতির কারণে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির চারজন অভিভাবক সদস্য নাজমুল হুসাইন, আব্দুল কাদের, সরোয়ার হোসেন খান ও আমিনুর রহমান পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার ভয়ে সভাপতি তার নিজের লোক হিসেবে দুজন নতুন অভিভাবক সদস্য সংগ্রহ করেন বলে অভিযোগে জানা যায়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন,  ‘আমরা যা অভিযোগ করেছি যথাযথ কর্তৃপক্ষ যদি তদন্ত করে তবে অবশ্যই তার সত্যতা মিলবে।’

জিল্লুর রহমান দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমরা যা বলেছি তা সব কিছুই সত্যি। সভাপতি উপজেলার শীর্ষ আওয়ামী লীগের নেতাদের দোহাই দিয়ে আমাদেরকে দমিয়ে রাখেন।’

প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, অভিযোগগুলো মিথ্যা। আর চার জন অভিভাবক সদস্য পদত্যাগ করেননি। দুজন অভিভাবক সদস্য নাজমুল আলম ও আব্দুল কাদের পদত্যাগ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আমরা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও যশোর শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করি। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে মুকুল হোসেন, মনিরুজ্জামান পলাশ নামে দুজনকে নিয়ম মেনেই অভিভাবক সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।’

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। মেয়ে স্কুলে নিয়োগপ্রাপ্ত অফিস সহকারী তৌহিদুজ্জামানের দাদার কাছ থেকে ওই জমি (২৮ শতক) কিনে নিয়েছেন।’
 
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে বলেন, ‘এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন - dainik shiksha ছুটি না বাড়ালে বাড়ি যেতে হতে পারে ঈদের দিন হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে - dainik shiksha জালিয়াতি করে পদোন্নতি শিক্ষা ক্যাডার গ্যাঁড়াকলে রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা - dainik shiksha রুয়েটের সাবেক উপাচার্য-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সংখ্যালঘু কোটার তথ্য চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী - dainik shiksha হাইস্কুলে কমেছে দশ লাখের বেশি শিক্ষার্থী please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033481121063232