দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ভাবকী ইউনিয়নের কাচিনীয়া বাজার থেকে আ:রাজ্জাক(১৫) নামে এক স্কুলছাত্রকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আ:রাজ্জাক উপজেলার কুমড়িয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে এবং কুমড়িয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
অপহরণ,হত্যার হুমকি ও জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে স্কুল ছাত্র রাজ্জাকের বাবা বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ২৬ আগস্ট অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে দশম শ্রেণি পড়ুয়া নাবালক ছেলে মোঃ আঃ রাজ্জাক (১৫) কাচিনীয়া বাজারে খাতা-কলম কিনতে আসলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আগ্রা গ্রামের ফজলে, শরীফ, আঃ সাত্তার, মোঃ শরিফুল, জামিলসহ আরো কয়েকজন অসৎ উদ্দেশ্যে জোরপূর্বক অপহরণ করে মৈত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। পরবর্তীতে রাজ্জাককে মারধর করে হত্যার হুমকি দেখিয়ে ফজলের মেয়ে মমতাজ খাতুনের (১৪) সাথে জোরপূর্বক বিয়ে করতে বাধ্য করে।
গত ২৮ আগস্ট ফজলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ি জনশূন্য ও ঘরগুলো তালাবদ্ধ। মৈত্রী স্কুল মোড়ে অন্যতম অপহরণকারী শরীফের মা ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার পরদিন থেকেই ফজলে, তার স্ত্রী, মেয়ে ও কথিত জামাইকে নিয়ে তারা নিরুদ্দেশ। এমনকি ফজলের সহযোগিরাও বাড়িতে নেই।
ছেলেটির বাবা মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, তারা আমার নাবালক ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তিনি তার ছেলেকে উদ্ধারের দাবি জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশংকা প্রকাশ করে বলেন, দ্রুত ছেলেকে উদ্ধার করতে না পারলে তারা যে কোন সময় আমার ছেলেকে প্রাণে শেষ করতে পারে কিংবা গুম করতে পারে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলতাব হোসেন বলেন, আমরা সেদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারিনি।
ভাবকি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটিকে কাচিনীয়া বাজার হতে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি শুনে তাৎক্ষনিক ৩ জন ইউপি সদস্যকে ছেলেটিকে উদ্ধারে পাঠিয়ে দিলে তারা ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে ওই ছেলেকে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার ঘটনা শুনে ছেলের বাবাকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেই।
এ বিষয়ে খানসামা থানার এস আই তপন রায় জানান, ছেলেটিকে উদ্ধার করার জন্য বেশ কয়েকবার ফজলের বাড়িতে গিয়েছি। কিন্তু বাড়ি জনশূন্য ও ঘরগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা যায়। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব ছেলেটিকে উদ্ধারের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।