গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, নয়নপুর এলাকার বাসিন্দা সোহরাবের ছেলে শরীফ (১৮), লিটনের ছেলে সুজন (১৯), নয়নপুর এলাকার হারুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া কবিরের স্ত্রী উর্মি (১৮) ও শরীফ (২০)। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে উর্মিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভোক্তভোগী ছাত্রীর মা জানান, তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে নয়নপুর এলাকার পূর্ব পরিচিত মো. সোহরাবের ছেলে শরীফ তাকে প্রেম প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিতো। তাতে সাড়া না দেয়ায় অপহরণসহ বিভিন্ন হুমকিও দিয়ে আসছিল সে।
তিনি আরও জানান, গত ১৫ জানুয়ারি কারখানার ডিউটি শেষে রাত ১০টায় বাসায় ফিরে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের অন্যান্য স্বজনসহ আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে নয়নপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোপঝাড়ের ভেতর মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে সেখানে তার জ্ঞান ফিরে। তখন মেয়ে জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শরীফ ও তার সঙ্গীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মুখে গামছা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে অন্যদের সহযোগিতায় তাকে নয়নপুর গ্রামের আসাদ মোল্লার বাড়ির পাশে ঝোপঝাড়ে নিয়ে শরীফ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল সাকীব জানান, এঘটনায় উর্মি নামের (মামলার চার নাম্বার) আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।