চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের এক যুগ পর এক আসামি জয়নালকে যাবজ্জীবন ও অন্য আসামি দাউদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মশিউর রহমান খানের আদালত এ রায় দেন। দণ্ডিত দুই আসামিই পলাতক।
এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট জেসমিন আক্তার জানান, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর পাথরঘাটার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বাসায় ফিরছিল। এ সময় তার চাচাতো ভাই দাউদ ও তার বন্ধু ছাত্রীটির গৃহশিক্ষক জয়নাল আবেদিন তাকে অপহরণ করে। মেয়েকে না পেয়ে ৭ জুন কোতোয়ালী থানায় অপহরণ মামলা করেন তার বাবা।
এদিকে ছাত্রীটিকে অপহরণের পর ফেনী, নোয়াখালী ও দিনাজপুরের বিভিন্ন স্থানে এক মাসেরও বেশি সময় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন জয়নাল আবেদিন। ওই বছরই ১০ জুলাই তাকে দিনাজপুর থেকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় জয়নাল ও দাউদকে। উদ্ধারের পর ওই ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ আগস্ট পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। একই বছরের ১৫ নভেম্বর চার্জশিট আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
মামলায় মোট ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার মামলাটির রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে জয়নালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দাউদকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তবে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে গ্রেফতার হলেও পরবর্তীতে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান মামলার দুই আসামি। এখনও তারা পলাতক।