বরগুনার তালতলীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে ভাইরাল করা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন এবং দুইজনকে ১০ বছরে করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে একলাখ টাকা করে জরিমানার আদেশও দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল, বরগুনা তালতলী উপজেলা শহরের বারেক ডাক্তারের ছেলে আল আমীন, জাহাঙ্গীর খলিফার ছেলে নাবালক মেহেদী ও মংমংরীর ছেলে উছেন। উছেন মামলা শুরু থেকে পলাতক। অন্য দুই জন আসামী রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল।
জানা যায়, মামলার বাদী গোলাম মাওলার স্ত্রী শামিমা আকতার তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ২২ ফেব্রæয়ারী তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে তালতলী বাসায় রেখে তারা দুইজনে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার খাতা আনতে যায়। ওইদিন রাতে তার মেয়ে পাশের ঘরের একটি মেয়েকে নিয়ে রাতে বাসায় ঘুমায়। রাত ১২ টার দিকে প্রতিবেশী মেয়েটির দাদী অসুস্থ হলে সে তার বাসায় চলে যায়। এই ফাকে ওই আসামীরা বাদীর বাসায় ঢুকে স্কুল ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ছবি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগে ছড়িয়ে দেয়।
তালতলী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজী ফজলুল হক মামলাটি তদন্ত শেষে ১২ জুন ওই তিনজন আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দালিখ করেন। আসামী আল আমিন ও মেহেদী প্রায় দুই বছর পর্যন্ত জেল হাজতে আছে। উছেন শুরু থেকে পলাতক।
আসামী মেহেদীর বাবা জাহাঙ্গীর খলিফা বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। তার ছেলের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষী সাক্ষ্য দেয়নি। আমি উচ্চ আদালতে আপীল করবো।
রাষ্ট্র পক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, আসামী মেহেদী ও উছান নাবালক বিধায় তাদের ১০ বছরের বেশি সাজা দেয়ার বিধান নেই। নাবালক না হলে তাদেরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হত।