পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগ চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য মজনু সরকার (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী এখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মজনু উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের রাঙ্গালিয়া গ্রামের নুরুজ্জামান মাস্টারের ছেলে। এ ঘটনায় নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ভাঙ্গুড়া থানায় শুক্রবার রাতে লিখিত অভিযোগ করেন।
ধর্ষিতার স্বজনরা জানান, পাঁচ মাস আগে এক সন্ধ্যায় মজনু তার বাড়ির পাশের ওই কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে এবং এ ঘটনা কারও কাছে প্রকাশ করলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয়। এ কারণে কিশোরী ভয়ে বিষয়টি চেপে যায়। কিছুদিন পরে মজনু একইভাবে বাড়িতে একা পেয়ে ওই কিশোরীকে আবারও ধর্ষণ করে।
এতে গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওই কিশোরী বিষয়টি তার বাবা-মা ও মজনুকে জানায়। তখন মজনু গর্ভপাত করাতে ওই কিশোরীকে গোপনে কিছু ঔষধ সেবন করায়। ঔষধ খেয়ে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গত বুধবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে, বিষয়টি গত দুই দিন উভয় পরিবার গোপন রাখলেও শুক্রবার সবাই জেনে যায়। পরে এ ঘটনায় মজনুকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দেয় কিশোরীর বাবা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরীফুল ইসলাম, ধর্ষক মজনু চার সন্তানের জনক এবং লম্পট প্রকৃতির। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ এবং বিয়ের নামে প্রতারণাসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। মজনু সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। চাকরির আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় তাকে সেখান থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই সেলিম রেজা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।
এ ছাড়া কিশোরীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামীকাল ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং অভিযুক্তকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হবে।