ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর বাড়ির পাশে ফেলা রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে ধর্ষণের বিষয়ে জবানবন্দি দিয়েছে ওই কিশোরী। পরে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, রোববার ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ফারুক মিয়া (২৮) তাঁর দুই সহযোগী শাহরিয়া ও মিঠু পাঠানের সহযোগিতায় তাকে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে ফারুকের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সারা রাত আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন ফারুক। এদিকে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যায় হলেও ছাত্রীটি বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে ফারুক মিয়া ও তাঁর সহযোগীরা মেয়েটিকে চলন্ত অটোরিকশা থেকে তার বাড়ির পাশে ফেলে চলে যান। এ সময় ওই ছাত্রীর আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
থানা সূত্র জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বিদেশ থাকেন। এই ঘটনার সময় তার দাদা পারিবারিক কাজে ঢাকায় ছিলেন। পরে গতকাল মঙ্গলবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে কসবা থানায় মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি ফারুক মিয়া। অপর দুই আসামি শাহরিয়া ও মিঠু পাঠান। তাঁরা সবাই পলাতক।
কসবা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন বলেন, ছাত্রীটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক ফারজানা আক্তারের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে জবানবন্দী দিয়েছে। রাতভর ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি আদালতের কাছে বলেছে মেয়েটি।