পটুয়াখালীর মহিপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যার পর এবার জেলার কুয়াকাটায় ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ গুমের আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই ছাত্রীর শোবারঘর থেকে রক্তমাখা দুটি ছুরি ও তার ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস উদ্ধার করা হলেও তার দেহের কোনো হদিস মেলেনি। তবে ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও কেউ বিষয়টা আঁচ করতে না পারায় এলাকার মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিখোঁজ ছাত্রী মরিয়ম (১৫) মহিপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলার খানাবাদ কলেজসংলগ্ন এলাকার মৃত বাবুল মল্লিকের মেয়ে। মঙ্গলবার রাতে মরিয়ম ওই বাড়িতেই ছিল। এমনকি গভীর রাতে বোনের সঙ্গে তার নাকি কথা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে মৃত বাবুল মল্লিকের স্ত্রী নূরজাহান (৪০) তার শিশুপুত্র হামিম (৩) ও মেয়ে মরিয়মসহ এক খাটে ঘুমিয়ে পড়েন। দোতলায় স্বামীর সাথে ছিলেন তার বোন রেশমা। দিবাগত রাত ৩টার দিকে রেশমা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে নেমে ঘরে ওঠার সময়ও বোন মরিয়মের সঙ্গে তার কথা হয়। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পেলেও খোঁজ মেলেনি মরিয়মের।
খবর পেয়ে মহিপুর থানা পুলিশ বুধবার ভোর সাড়ে ৫টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে রক্তমাখা দুটি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেজেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
ধারণা করা হচ্ছে, রেশমা রাতে ঘরের দরজা খুলে বাইরে আসার সুযোগে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিল। পরের কোনো এক সময় তাদের মিশন শেষ করে লাশ গুম করে ফেলে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহবুবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রক্তমাখা দুটি ছুরি ও মরিয়মের ব্যবহৃত পায়ের নূপুর এবং দুই টুকরো মাংস ঘরের মেজেতে পাওয়া গেলেও কোনো অবস্থাতেই মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ঘরের বেড়াসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তে ভেসে গেলেও পরিবারের কেউ টের না পাওয়ার বিষয়টিও রহস্যজনক।