রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার (১৪) গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের নিজ শয়ন কক্ষ থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিলপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মেয়ে বর্ষা দুপুরে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমাতে যায়। কিন্তু বিকাল হয়ে গেলেও ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা খুলে বর্ষার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে খবর পেয়ে স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুব্রত দে। মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন জানান, সুমাইয়া আক্তার বর্ষার বাবা তার মেয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে-এমন অভিযোগে মামলা করেন। তাদের ধারনা বর্ষা আত্মহত্যা করতে পারে। লাশ ময়না তন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ এপ্রিল প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি হতে বের হয়। বিকাল হলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রাইভেট সেন্টারে গিয়ে খোঁজ নেয়। ইতিমধ্যে তানোর লালপুর ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা স্কুল শিক্ষার্থীর বাবাকে মোবাইল ফোনে জানান, তার মেয়ে মোহনপুর টু কালিগঞ্জগামী পাকা রাস্তার উত্তর পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছে।
খবর পেয়ে বাবা বর্ষাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) ভর্তি করেন। চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরলেও মেয়েটি বিষন্নতায় ভুগছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বর্ষার বাবা গত ২৭ মে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি।