শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তাদের ভুল ধরিয়ে দেয়া ও সংশোধনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে নতুন সিলেবাস পদ্ধতি চালু করেছে রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কলেজ মিলনায়তনে কর্মশালায় নতুন শিক্ষাপদ্ধতি প্রণেতা ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মেহফুজা জেসমিন এ বিষয়ে ধারণা দেন।
মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনায় মেহফুজা জেসমিন জানান, প্রাথমিকভাবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যায় ও পিরিয়ড-ভিত্তিক সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীবান্ধব এ পদ্ধতিতে কারিকুলাম পিরিয়ডের সংখ্যা, ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফলে এর প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে এতে শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিকগুলো সঠিক ও সহজভাবে চিহ্নিত করা যাবে এবং শিক্ষকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোচিং ও গাইড নির্ভরশীলতা কমিয়ে বোর্ড বই ও ক্লাসরুমে ফেরাতে শিক্ষামন্ত্রী এবং সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের নির্দেশনা রয়েছে তা পূরণে সক্ষম এটিই দেশের প্রথম পদ্ধতি। নতুন উদ্ভাবিত এ পদ্ধতি বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের (বিইডিইউ) মাধ্যমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে পারলে শিক্ষা নিয়ে ভীতি দূর হওয়াসহ শিক্ষার্থীরা প্রতিটি বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবে।
পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. কেএম জালাল উদ্দিন আকবরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম, বিশেষ অতিথি জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী টুলটুলি রানী, রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের চিফ ইন্সট্রাক্টর ড. আব্দুস সালাম, রংপুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষক রেজাউল করিম, লাইফ কনসালটিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইদুল আহসান রিয়াল। কর্মশালায় প্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিক্ষক অংশ নেন।