ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার হাইলাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি স্কুলে না এসেও নিয়মিত বেতন উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রধান শিক্ষক এইচ এম ফয়সালের যোগসাজশে দপ্তরি স্কুলে না এসেও বেতন পান বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
কয়েকজন অভিভাবক দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আ. খালেক হাওলাদার প্রভাব খাটিয়ে তার ছেলে মো. মনির হোসেনকে দপ্তরি পদে নিয়োগ পাইয়ে দেন। নিয়োগ পাওয়ার আগে থেকেই মনির হোসেন ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেছেন। কিন্তু স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার পরেও আগের চাকরি থেকে অব্যাহতি না নিয়ে যোগদান করেছেন তিনি। প্রাইভেট কোম্পানি থেকে মাঝে মাঝে ছুটি নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন ও মাস শেষে হাজিরা খাতায় পুরো মাসে স্বাক্ষর করেন এ দপ্তরি। আর এ কাজে তাকে সহায়তা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এইচ এম ফয়সাল।
গত সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দপ্তরী মনির হোসেন স্কুলে উপস্থিত নেই। হাজিরা খাতায় নয় দিন পর্যন্ত উপস্থিতির স্বাক্ষরও নেই। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, স্কুলে কাগজে কলমে ছয়জন শিক্ষক থাকলেও বাস্তবে থাকে দুই জন। প্রধান শিক্ষকও মাঝে মাঝে স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে শিক্ষা অফিসে এটিও সাহেবের সাথে কাজ আছে বলে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দপ্তরী মনির হোসেন অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে জানান, আমার শারীরিক অসুস্থতার কারনে আমি স্কুলে উপস্থিত হতে পারিনি।
হাজিরা দিয়ে স্কুলে না থাকার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এইচ এম ফয়সাল দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, ‘আমি স্কুলের কাজে উপজেলায় আসছি’। মনির হোসেনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘ওকে ৩ দিনের ছুটি দিয়েছি।’ আপনি তাকে ছুটি দিতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মানবিক কারণে আমি তাকে ছুটি দিয়েছি।”
এ বিষয়ে স্কুলের ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা মো সাইফুর রহমান জানান, দপ্তরী মনির হোসেন কে সোকজ করা হয়েছে এবং প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।