রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গার ধুবিল মেহমানশাহী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কমনরুমে অশ্লীল ভ্যারাইটি শো চালানোর অভিযোগে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণের পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবার নৈশ প্রহরীকে শোকজ করেছেন। অপরদিকে, দৈনিক শিক্ষায় সংবাদ প্রকাশের পরে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২২ মার্চ ও ২৩ মার্চ রাতে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের কমনরুমে অশ্লীল ভ্যারাইটি শো পরিচালিত হয়। ফেসবুকে কিছু অশ্লীল ছবি ভাইরাল হলে পুলিশ ভ্যারাইটি শো বন্ধ করে দেয়।
বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী খান ও সভাপতি মনিরুজ্জানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। নোটিশ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরী রেজাউল করিমকে সাত দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এদিকে, গত ২৯ মার্চ দৈনিক শিক্ষায় সংবাদ প্রকাশের পরে কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
নৈশ প্রহরী রেজাউল করিম জানান, যখন অশ্লীল নাচগান শুরু হয় তখনই প্রতিষ্ঠানের সভাপতিকে অবহিত করা হয়েছে। ওই কক্ষের চাবিও তার কাছে থাকে না। চাবি থাকে দপ্তরির কাছে। তাহলে তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে কেন?
আরও পড়ুন: স্কুলের কমনরুমে অশ্লীল নৃত্য ফেসবুকে ভাইরাল
তবে বিদ্যালয়ের সভাপতি মনিরুজ্জান বলেন, ঘটনাটি তার জানা ছিল না। প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী জানান, নৈশ প্রহরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কক্ষের চাবি কার নিকট থাকে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, দপ্তরির কাছে থাকে। তাহলে নৈশ প্রহরী জড়িত কীভাবে এমন প্রশ্নের জবাব দেননি প্রধান শিক্ষক।
রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।