ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিভাগদী উচ্চ বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি এ কেএম রওশন ফকির ও প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম স্কুলের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, স্কুলের পশ্চিম পাশে শিক্ষার্থীরা লাগানো প্রায় ৫০টি মেহগুনি গাছ রয়েছে। গত ২৪ জুন সেখান থেকে বড় বড় ৬টি গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে এই গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী আরও জানায়, ৬টি মেহেগুনি গাছের দাম কমপক্ষে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬টি গাছের গুড়ি গাছের ডালপালাও পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষকদের কাছে জানতে চাইলে তারা কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান।
প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, নিয়ম মেনেই গাছ কাটা হয়েছে। তবে, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন দেখতে চাইলে তিরি বলেন, এখন দেখাতে পারবেন না। পরে এক সময় দেখাবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে সভাপতি এ কে এম রওশন ফকিরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, গাছ কাটা হয়েছে আমি শুনেছি, তবে রেজুলেশন করার কথা প্রধান শিক্ষকের। রেজুলেশন করেছে কি না তা আমার জানা নেই।
সালথা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, আমি বিষয়টি স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর মাধ্যমে জেনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দেখা হবে।
এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি নিয়ে কোনো ধরনের দেখভাল নেই কমিটির। স্কুল কমিটির অন্য সদস্যদের সাথে প্রায়ই মতের অমিল হয় সভাপতির। ফলে, কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামত ছাড়াই স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক।