নীলফামারীর সৈয়দপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে অবৈধভাবে কলেজের বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সাতপাই বেলপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের চারতলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে নীলফামারীর জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর পরও একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, সাতপাই বেলপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে নিজ জমিতে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠসহ এর ফটক ব্যবহার করে আসছে। পরে এটিকে কলেজে উন্নীত করা হয়।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নামে চারতলা একাডেমিক ভবন নির্মাণের বরাদ্দ আসে। দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
সাতপাই বেলপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ের জমিতে অবৈধভাবে কলেজের বহুতল ভবন নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।’
সৈয়দপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মণ্ডল বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে আমাকে একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছেন। আমিও বিষয়টি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
এ নিয়ে কথা হলে সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) লতিফুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘তবে এর পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়কে অন্যত্র জমি দেয়া হয়েছে, যার বিনিময় দলিলও রয়েছে। এ ছাড়া ওই জমি সাতপাই উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য আমি গত ২৪ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন করেছি।’
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সৈয়দপুর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বিনিময় দলিলের বিষয়টি দেখার পরই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’