রাতের অন্ধকারে স্কুলে চুরির বড়সড় পরিকল্পনা৷ কিন্তু তালা ভেঙে, আলমারি ভেঙে চোরের দল শুধুই নিয়ে গেল মিড ডে মিলের মশলা৷ আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছাড়া কিছুতেই হাত দিল না চোরের দল৷ এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানে হীরাপুর থানা এলাকার ঢাকেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ে। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকায় এ তথ্য জানা যায়।
তবে ওই একই রাতে স্কুলের অদূরে সূর্যনগর পোস্ট অফিসে সশস্ত্র দুষ্কৃতিকারীরা হানা দেয়। সেখানে নাইট গার্ড-সহ স্থানীয় দু’জনকে বেঁধে পোস্ট অফিসের তালা ভেঙে ঢুকেও খালি হাতে ফিরে যায়। এই দলটি শুধুমাত্র লুটপাট করতে সমর্থ হয়েছে ইসমাইলের এক ফাঁকা গৃহস্থ বাড়িতে। সেখানে খোয়া গেছে প্রায় এক লাখ টাকার সম্পত্তি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতিকারী৷ ভাঙা আলমারি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ খোয়া যায় নগদ ৫ হাজার টাকা। প্রধান শিক্ষকের অফিস ও ক্লারিক্যাল অফিসের মোট ৮টি আলমারির তালা ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতিকারীরা। বেশ কিছু ড্রয়ারের তালা ভেঙে খুলে ফেলা হয়।
প্রধান শিক্ষক রবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘অফিসজুড়ে জিনিসপত্র তছনছ করে দেয়া হয়েছে। আমি যখন খবর পেয়ে স্কুলে ঢুকি, তখন দেখি আলমারিগুলোর সামনে একটি করে চেয়ার পাতা আছে। বোঝাই যাচ্ছে প্রতিটি ফাইল চেয়ারে বসে বসে খুঁটিয়ে দেখেছে দুষ্কৃতিকারীরা। গুরুত্বপূর্ণ কী কী নথি খোয়া গেছে, এখনই বোঝা যাচ্ছে না।’
জানা গেছে, স্কুলের কম্পিউটার,মিড ডে মিলের বাসন – এসব কিছুই চুরি হয়নি৷ শুধুমাত্র একটি আলমারিতে রাখা মুগ-মুসুরির ডাল, ধনে, জিরে, গরম মশলা ও লঙ্কাগুঁড়োর প্যাকেট ছিল। মিড ডে মিলের সেই মশলা নিয়ে গেছে পালিয়েছে তস্করের দল।
জানা গেছে, ওই রাতে স্কুলের নৈশপ্রহরী লক্ষ্মীকান্ত বাউরি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না৷