রুমা উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়, সেপ্রু পাড়ার একতলার বিদ্যালয়টি দোতলা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদার ও কমিটির লোকজনের যোগসাজশে দায়সারাভাবে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
পাড়াবাসীরা জানায়, ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ময়লাসহ নিম্নমানের বালু ও নিম্নমানের ইটের খোয়া। এছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের রড এবং ঢাইয়ের পর রড বেরিয়ে আছে। যেভাবে কাজকরা হয়েছে তাতে ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নিম্নমানের ইটের খোয়াতারা বলেন, এ ভবনে ছেলে মেয়েদের কীভাবে লেখাপড়া করতে পাঠাবো তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে। ক্লাস শুরুর আগে অবশ্যই ভবনটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তদারকি করা উচিত।
২০১৮ সালের সালে ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২৭০ দিন সময় সীমা বেধে দেওয়া হয়েছিল। কাজের মধ্যে আছে বিদ্যালয়ে স্যানিটারি, পানি সরবরাহ ও অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজসহ একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা সম্প্রসারণ করা। কাজটি করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রিভিউ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রিভিউ ইন্টারন্যাশনালের ঠিকাদার আতাউর রহমান রিপন বলেন, দোতলা ভবনটি করতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।সিডিউলে যেভাবে বলা আছে সেভাবেই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
ময়লাযুক্ত বালিকাজের মান দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও ভবন নির্মাণ কমিটির সদস্য মতিময় চাকমা। তিনি বলেন, ‘আমাকে কাজ দেখাশুনার দায়িত্ব দিয়েছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে আমি কাজটি তদারকি করেছি। ইটের কংকর এর চেয়ে ভালো মানের পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ঢালাই দিতে না পারায় রড দেখা যাচ্ছে। তারপরও কাজের মান দেখে আমি সন্তুষ্ট।’
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের বান্দরবানের সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলামকে কয়েকবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।