বগুড়ার ধুনট সরকারি এনইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে যত্রতত্রভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজি বাইক রাখা হয়। এতে সরাসরি বিদ্যালয়ে ঢুকতে অসুবিধা হয় শিক্ষার্থীদের। অনেক সময় যাত্রী ও চালকদের আচরণে অস্বস্তিতে পড়ে তারা। বিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সময়ও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট সরকারি এন ইউ পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ের পূর্বপাশ দিয়ে রয়েছে প্রবেশপথ। প্রবেশপথের সামনেই রয়েছে শহর থেকে থানা ও হাসপাতালে যাওয়ার সড়ক। ওই সড়কপথেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে হয়।
কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রবেশপথেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে যানবাহনের স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ড থেকে বগুড়া, সোনাহাটা, জোড়শিমুলসহ বিভিন্ন স্থানে যানবাহন যাতায়াত করে। ফলে যানজটের কবলে পড়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
বিদ্যালয় ছুটির সময় রাস্তায় এলোপাতাড়ি যানবাহনের কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এই রাস্তা দিয়ে যখন কোনো ভিআইপি যাতায়াত করেন তখন রাস্তা থেকে কিছু সময়ের জন্য সিএনজি সরিয়ে ফেলে পুলিশ। এর কিছুক্ষণ পরই সড়ক পুরনো চিত্রে ফিরে আসে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জেরিন খাতুন ও ইকবাল হোসেন জানায়, বিদ্যালয়ের ফটক দিয়ে যাতায়াতের সময় যানবাহনের সঙ্গে প্রায়ই তাদের ধাক্কা লাগে। এ ছাড়া শ্রেণিকক্ষে পাঠ গ্রহণের সময় যানবাহনের হর্নের বিকট শব্দে লেখাপড়া ব্যাহত হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মশিউর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা যানবাহনের স্ট্যান্ড অপসারণের জন্য প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে নিজ উদ্যোগে যানবাহনগুলো সরানো হলেও দু-এক দিন পর আগের পরিবেশ বিরাজ করে। এ সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না।’
যানবাহনের চালক আবু হাসেম ও রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই শহরে যানবাহনের স্ট্যান্ডের নির্ধারিত জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে থেকে যাত্রী ও মালপত্র ওঠানো-নামানো হয়।’
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।’