‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে জোনিং পদ্ধতি নিয়ে একটি পরামর্শক কমিটি অব্যাহতভাবে কাজ করছে। রেড জোন, ইয়োলো জোন বা গ্রিন জোন একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা নির্ধারণ করা হয় সংক্রমণ বিস্তারের সর্বাধিক ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি এবং কম ঝুঁকির ওপর নির্ভর করে। জোনিং পদ্ধতি স্থায়ী কোনো বিষয় নয়।’ আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, ‘স্থায়ীভাবে কোনো অঞ্চল বা এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা বা বাতিল করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানের কোনো কোনো এলাকাতে রেড জোন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর ওয়ারীতে নির্ধারিত এলাকা চিহ্নিত করে, সেখানে পরীক্ষামূলক রেড জোন বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।’
অধ্যাপক নাসিমা আরো বলেন, ‘পূর্ব রাজাবাজারে রেড জোন চলমান আছে। পরামর্শক কমিটির গাইড লাইন অনুসারে এবং স্থানীয় পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে, যেখানে যেমন প্রয়োজন, তেমন রেড জোন বাস্তবায়নের কাজ চলমান আছে।’
অধ্যাপক নাসিমা আরো বলেন, ‘জোন বিষয়ে যে কমিটি করা হয়েছে, তাতে ১৩ জন সদস্য আছেন। তাঁদের মধ্যে কমিটির চেয়ারপারসন হচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক এবং কমিটিতে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের অফিস থেকে সদস্য, এটুআই, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও লাইন ডিরেক্টর থেকে সদস্য, আইডিসিআর ও মেন্টাল হেলথ থেকে সদস্য ও সাবেক মহাপরিচালকসহ ১৩ জনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে জোনিং সিস্টেমটা চলমান আছে এবং কার্যকর করা হবে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৬৯৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো তিন হাজার ৫০৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এক লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।