দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বল্পব্যয়ে যক্ষ্মা নির্ণয়ে নতুন কৌশল আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী ড. কাজী রুশদী আহমদ। তার নেতৃত্বে স্বল্পব্যয়ে সহজ একটি রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ণয় করা যাবে যক্ষ্মা।
বিজ্ঞানী ড. কাজী রুশদী আহমদের নেতৃত্বে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-এর একদল বিজ্ঞানী এই পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন। গত ২৩ অক্টোবর ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়। এছাড়া বিভিন্ন দেশে এই মুহূর্তে যক্ষ্মায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এদের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের দেশে বাস করে যেখানে বিদ্যমান যক্ষ্মা নির্ণয় পদ্ধতিগুলো বেশ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। নতুন আবিষ্কৃত পদ্ধতিতে মাত্র এক ঘণ্টায় শুধু রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই কার্যকরভাবে যক্ষ্মা নির্ণয় করা যাবে। বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ যক্ষ্মা রোগীর জীবন বাঁচাতে এই আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. কাজী রুশদী আহমদের নেতৃত্বে আবিষ্কৃত যক্ষ্মা নির্ণয়ের এই পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করে ইতোমধ্যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বের নামকরা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা। ড. কাজী রুশদী আহমদ বাংলাদেশে সমাজসেবামূলক সংস্থা ‘কিউ কে আহমদ ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কোম্পানি ‘ট্রু নর্থ বায়ো’-(টিএনবি) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
রুশদীর বাবা পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ এবং মা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. জাহেদা আহমদ। রুশদী ঢাকার সেন্ট জোসেফ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে রুশদী বড়ো। ড. রুশদী যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে বাস করলেও দেশের টানে, এ দেশের মানুষের জন্য তার বাবার নামে ‘কিউ কে ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলেন। সেখানে তিনি শিশু-কিশোরদের নৈতিক শিক্ষার বিকাশে ইতোমধ্যেই একটি পাঠাগার, প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি বিশেষায়িত স্কুল ও তরুণ অর্থনীতিকদের সম্মাননাসহ নানামুখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন।