নেতারা বিলুপ্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক নেতৃবৃন্দ কর্তৃক গঠনতন্ত্র বহির্ভূত অ্যাডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদ জানান। এ বিষয়ে মহাপরিচালকের দপ্তর যেন ব্যবহার না হয় সে দাবিও জানানো হয়। সরকারি চাকরি করেও যারা সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কটুক্তি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতারা। উদাহরণ হিসেবে শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে ওঠা স্বাধীনাত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদ নেতাদের দাবিসমূহ আগ্রহসহকারে শোনার পর মহাপরিচালক তাদের সব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সভায় উপস্থিত সংসদের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী ও যুগ্ম-আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র সরকার দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সভা সঞ্চালনা করেন সংসদের সদস্য মো: মুকিব মিয়া ও সহায়তা করেন চন্দ্র শেখর হালদার মিলটন। এ সময়ে সংসদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো: নাসির উদ্দিন, সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী, যুগ্ম-আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র সরকার, মো. কওছার আলী, আমিরুল ইসলাম পলাশ, মোসলেম উদ্দিন, সদস্যদের মধ্যে মো: মনিরুল আলম মাসুম, বিজয় কুমার ঘোষ, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, এম এ বাশার, রিয়াদ আরাফাত, শামিম আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম বাবু ফখরুল ইসলামসহ প্রায় ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনতা বিসিএস সংসদের সব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস মহাপরিচালকের
নিজস্ব প্রতিবেদক |
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের স্বার্থে উত্থাপিত স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সব দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. সৈয়দ গোলাম ফারুক। মহাপরিচালকের ডানেবামে স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক উপস্থিতি, সরকার ও স্বাধীনতা বিরোধীদের শিক্ষা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে বিতারণ, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য প্রস্তাবিত ১২ হাজার পদ সৃজনের কাজ তদারকি, অর্জিত ছুটি, ১৪ তম বিসিএসের সবাইকে অধ্যাপক করাসহ কয়েকদফা দাবি তুলে ধরেন স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের নেতৃবৃন্দ। ২৪তম পর্যন্ত সব কর্মকর্তাকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রদানেরও দাবি জানান তারা। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা ভবনে মহাপরিচালকের দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষা সংসদ নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন।
সংসদের সদস্য-সচিব সৈয়দ জাফর আলী দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, ক্যাডারের স্বার্থের বিরুদ্ধে এবং নিজেদের অস্তিত্ব টেকাতে বিলুপ্ত সমিতির কতিপয় নেতা যা যা করছেন সবই গঠনতন্ত্রবিরোধী। এসবের ঘোর বিরোধী করছে এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে স্বাধীনতা সংসদ।
বিপুল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সমিতি বিলুপ্ত হলেও কেন মহাপরিচালকের কাছে সালিশির জন্য আসেন? মহাপরিচালক ও প্রশাসন ও কলেজ শাখার পরিচালকের নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনের নামে যা যা করা হয়েছে সবই ব্যক্তিস্বার্থে, ক্যাডারের স্বার্থে নয়। ক্যাডারের স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
মহাপরিচালককে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুসারে সমিতি এখন বিলুপ্ত। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে বিলুপ্ত সমিতির সভাপতি ও মহাসচিব ক্যাডারকে বিভক্ত করার জন্য কর্মসূচি দিয়েছেন, অ্যাডহক কমিটি করেছেন। এসব কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধীতা করছে স্বাধীনতা সংসদ। প্রতিবাদ জানাচ্ছে।