নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক সংগঠন গড়ে তুলতে চাইছেন দেশের পুস্তক বিক্রেতারা। সে লক্ষ্যে জেলা-উপজেলায় পুস্তক বিক্রেতাদের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পুস্তক বিক্রেতাদের দাবি, ‘বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’ নামের যে সংগঠনটি বর্তমানে রয়েছে, শুরু থেকেই সেটি শুধু পুস্তক প্রকাশকদের স্বার্থ রক্ষা করে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নানা বঞ্চনারও শিকার তারা। ফলে তাঁদের স্বার্থ রক্ষার জন্য এখন পৃথক সংগঠন গড়ে তোলার আর বিকল্প নেই।
পুস্তক বিক্রেতাদের মতামত চেয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সরকার ২০১১ খ্রিষ্টাব্দ থেকে সারা দেশের স্কুল ও মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এনসিটিবি প্রকাশিত সব বোর্ড বই বিনা মূল্যে সরবরাহ করে আসছে। এর আগে এনসিটিবি পুস্তক বিক্রেতাদের পাঠ্যপুস্তক সরবরাহকালে সাড়ে ২২ শতাংশ কমিশন দিত। কিন্তু এবার তাদের প্রকাশিত গাইড বইয়ে মাত্র ১৫ শতাংশ কমিশন দিয়েছে।
সমিতির নীতিমালায় বলা হয়েছিল, সারা দেশের বই পাঠ্য করাতে কোনো বইয়ে ডোনেশন দেয়া যাবে না। প্রমাণ হলে জরিমানা করা হবে। কিন্তু তিনটি প্রকাশনী এবার স্কুল-মাদরাসায় কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। ফলে ছোট প্রকাশনীগুলো বিপাকে পড়েছে।
পুস্তক বিক্রেতারা বলছেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে ছোট প্রকাশনীগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।