দেশি-বিদেশি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যায়, চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে আগামী মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ঘটার আশঙ্কাই বেশি। এর ওপর যেভাবে মানুষের মধ্যে এক ধরনের শৈথিল্য দেখা যাচ্ছে তাতে আক্রান্ত আরো বাড়বে বলেই মনে হয়।
তার পরও অন্যান্য দেশের পরিস্থিতি অনুসারে আশা করছি, জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে এবং ধীরে ধীরে দেশে প্রাদুর্ভাব কমে যাবে। এককথায় বলতে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে—সুদিন বেশি দূরে নয়।
তবে এ ক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা ও সতর্কতার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। মানুষ যদি সরকারের নির্দেশনা না মানে, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব না মেনে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে, ঘরে না থেকে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করে—তবে তো পরিস্থিতি ভালো হতে আরো দেরি লাগবেই।
এ জন্য সবাইকে বলব, আয়-রোজগারের জন্য সরকার কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করলেও সেটা যেন সব মানুষ অপব্যবহার না করে। নিজের ভালোর জন্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বাইরে গেলে কাজ সেরে দ্রুত ঘরে ফেরা। বাইরে থাকা অবস্থায় সতর্ক ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঘরে ফেরার পর প্রথমেই নিজেকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। কোনো উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে পরিবারের অন্যদের থেকে আলাদা করে নিতে হবে। প্রয়োজনমতো পরীক্ষা করে আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইউজিসি অধ্যাপক।