স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। মানববন্ধনে সারাদেশের প্রায় ৩৫০ জন ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
ভিডিও দেখুন: স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিভুক্তির দাবিতে ননএমপিও শিক্ষকদের মানববন্ধন
মানববন্ধনে শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি একমাসের মধ্যে সকল স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্তির আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু ৬ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তার কোনো প্রতিফলন নেই। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রায় ১৬৬১টি স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের তালিকা করা হচ্ছে। যার মধ্যে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৩০০ এবং ননএমপিও প্রতিষ্ঠান মাত্র ৩০০ এর মতো। এই তথ্য শুনে আমরা হতাশ। একটা নীতিমালা দিয়ে আমাদের এমপিওভুক্তি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এসময় ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী সকল স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করার যে আশ্বাস দেন তা বাস্তবায়নের দাবি জানান শিক্ষক নেতারা
শিক্ষক নেতারা আরও বলেন, এমপিও নীতিমালা-২০১৮ ভুলেভরা ও অসঙ্গতিপূর্ণ; যা শিক্ষকদের বোধগম্য নয়। এ নীতিমালা অনুসারে যদি এমপিও তালিকা প্রকাশ করা হয় তাহলে দেশের বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সরকার ব্যাপক জনসমালোচনার মুখে পড়বেন। স্বীকৃতপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের এমপিও নীতিমালার প্রায় ৫ থেকে ১৮ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত। এই নীতিমালা প্রকাশের পূর্বে স্বীকৃতিই ছিল এমপিওভুক্তির মানদণ্ড। ফলে, কোনো ধরনের নীতিমালার বেড়াজালে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি আটকে রাখা যাবে না বলে জানান শিক্ষক নেতারা।
মানববন্ধনে এমপিও নীতিমালা ২০১৮ প্রকাশের পূর্বে যে মানদণ্ড অনুসরণ করে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, সেই মানদণ্ড অনুসরণ করে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান তাঁরা।
মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায়সহ শিক্ষক নেতার বক্তব্য রাখেন।