স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশ তরুণ প্রজন্ম। স্মার্টফোনের সৌজন্যে তরুণ প্রজন্ম যেমন স্মার্ট হচ্ছে, বিপথগামীও হচ্ছে। স্মার্টফোন সহজলভ্য হওয়ায় ইন্টারনেট অ্যাকসেস করাটা এখন খুব সহজ। ফলে দেশের শহরাঞ্চলের তরুণ এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণের পার্থক্য নেই। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরুণদের অনেকে সামাজিক নানা ধরনের সেবামূলক কাজ, যেমন—রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণ, পথশিশুদের বিনা মূল্যে শিক্ষা প্রদানে সংগঠিত হয়; অনেকে অনলাইন ব্যবসা করে উপার্জনও করছে। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, অন্যদিকে এটি হুমকি হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছে। আমাদের সন্তানরা অবাধে ইন্টারনেটে বিচরণ করছে এবং খারাপ দিকগুলো গ্রহণ করছে, যা চিন্তার বিষয়। পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে ফল বিপর্যয়ের প্রধান কারণ স্মার্টফোন। ছেলে-মেয়েরা স্কুলের পরীক্ষা কিংবা বোর্ড পরীক্ষায় ভালো করলে মা-বাবা স্মার্টফোন উপহার দেন। এটা ভালো প্রবণতা নয়। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে ছেলে-মেয়েরা যেন স্মার্টফোনের সংস্পর্শে আসতে না পারে সে ব্যাপারে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। স্মার্টফোনের ভালো দিকগুলো কাজে লাগানোর জন্য সরকারি ও সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
লেখক : রিয়াজুল হক রিফাত, চট্টগ্রাম কলেজ।