ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুরে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোতে ভর্তির নামে চলছে রমরমা বাণিজ্য। তারপর ভর্তি শেষ হতে না হতেই বই কেনা থেকে শুরু করে পোষাক তৈরি পর্যন্ত অবিভাবকদের হতে হয় বিভিন্ন হয়রানির শিকার। এক শ্রেণির শিক্ষক নিজেদের ব্যক্তিগত আর্থিক উন্নয়নের স্বার্থে গড়ে তুলছে বিভিন্ন নামে কিন্ডারগার্টেন।
সচেতন মহলে অভিযোগ উঠেছে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কিন্ডারগার্টেন গড়ে তোলার কোন নিয়মনীতি না থাকায় বাণিজ্যিক হারে গড়ে উঠেছে এসব কিন্ডার গার্টেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষকরা নিজেদের পছন্দমত লাইব্রেরি, স্কুল ড্রেসের নামে টেইলার্স, খাতা-কলম থেকে শুরু করে সবখানে চলছে কমিশন বাণিজ্য। যেখানে বেশি কমিশন পান সেখানে শিক্ষার্থীদের পছন্দ দেন কিন্ডার গার্ডেন প্রধানরা। বার্ষিক পরীক্ষার শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধরনা দিতে শুরু করেন। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। তাদের যোগসাজসেই ঘটে অন্তরালের সব ঘটনা। এই ব্যবসায়ীরাই নষ্ট করছে কোমলমতি বাচ্চাদের শিক্ষাঙ্গন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক কিছু অবিভাবক অভিযোগ করে বলেন, স্কুল ড্রেসের নামে এমন কিছু কাপর পছন্দ করে রাখেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যা মার্কেটের কোথাও পাওয়া যায় না। যে টেইলার্স বা দোকানের সাথে আগেই যোগাযোগ করা থাকে তার কাছেই শুধু ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাপর পাওয়া যায়। অবিভাবকরা ছেলে মেয়েদের পোষাক তৈরি করতে গেলে টেইলার্স-দোকানদার হাকিয়ে দেয় চড়া দাম। উপায়ন্ত না দেখে যোগসাজস করা টেইলার্স-দোকানদারের কাছে বাধ্য হয়ে যেতে হয় অবিভাবকদের। লাভবান হন শিক্ষার নামে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। হয়রানির শিকার হন ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকরা।
প্রতিষ্ঠানের বইয়ের বেলাও এমন ঘটনাটি ঘটে থাকে। বই প্রকাশকরা প্রতিনিধিদের দ্বারা কিন্ডার গার্ডেনগুলোতে যোগসাজস করে কিন্ডার গার্ডেন প্রধানদের পছন্দমত লাইব্রেরিতে প্রেরণ করেন অবিভাবকদের। লাইব্রেরিও তখন সুযোগের সদ ব্যবহার করতে একটুও দিধাবোধ করনে না। কিন্ডার গার্ডেনের এইসব হয়রানির ক্ষতিয়ে দেখার যেন কেউ নেই। কিন্ডার গার্ডেনের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করে শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে সচেতন সুধীমহল। এবং তারা আরও বলেন, প্রত্যেকটি জেলায় সরকারিভাবে কিন্ডার গার্ডেন মনিটারিং এর জন্য মনিটারিং বোর্ড গঠন ও অনিয়ম-দুর্নীতি দুর করার জন্য আইন বাস্তবায়ন করা দরকার।