হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং সরকারি ও বেসরকারি মিলে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৪ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত হবে সর্ববৃহৎ তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনী ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯। যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদশ আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), আইডিয়া প্রকল্প এবং এটুআই। এই প্রদর্শনীর নলেজ পার্টনার হিসেবে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষে প্রতিনিধি, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজ নিজ স্বাক্ষর প্রদান করেন।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে বিএইচটিপি-এর অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম এবং বিসিএস-এর পক্ষে বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর স্বাক্ষর করেন।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, এনডিসি । তিনি বলেন, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রযুক্তিপ্রেমীদের মহাসম্মেলন হবে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯। এই প্রদর্শনীতে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির প্রতি বেশি জোর দেয়া হয়েছে। মঙ্গল জয়ের পরিকল্পনা এখন থেকেই আমাদের গ্রহণ করা উচিত। একমাত্র তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের এখন কোনো দূরত্ব নেই। উন্নয়নের এ অগ্রগতিকে চলমান রেখে পৃথিবীর নেতৃত্ব দেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে এই ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।
বিসিএস সভাপতি মো. শহিদ-উল-মুনীর বলেন, ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হওয়া বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি নিয়মিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। আইসিটিতে দেশের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে এই প্রদর্শনী সবার জন্যই শিক্ষণীয় হবে। দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহণে দেশে তৈরি প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে। সারা পৃথিবী থেকে আগত অতিথিরাও দেশের দ্রুত সমৃদ্ধ হওয়া এই খাতের সফলতা সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন। তথ্যপ্রযুক্তির এই সমৃদ্ধ পথচলায় বিসিএস এর অবদান অনস্বীকার্য।
গ্লোবাল ভিলেজের যুগে তথ্যপ্রযুক্তির নিত্যনতুন উদ্ভাবন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে। দেশের শিক্ষার্থীরাও যে প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন প্রমাণিত। প্রযুক্তিপ্রেমীদের দেশীয় উদ্ভাবনের প্রতি আকৃষ্ট করতে ‘মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগানে এই এক্সপো নিঃসন্দেহে একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন বিসিএস সভাপতি।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অর্থ ও প্রশাসন বিভাগের পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, উপসচিব জোহরা বেগম, উপসচিব প্রকৌশলী মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, বিসিএস মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ জাবেদুর রহমান শাহীনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৪ অক্টোবর শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী মেড ইন বাংলাদেশ স্লোগানে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।