নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া কলেজের আরবী বিষয়ের প্রভাষক মাসুদ রেজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার (৪ জুলাই) দুপুরে কলেজ থেকে বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে তিনি আর ফিরে আসেনি । তার ব্যবহুত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তার স্ত্রী বড়াইগ্রাম থানায় সন্ধায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুরাম দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মাসুদ রেজার স্ত্রী মোবাশ্বেরা বলেন, সকালে মাসুদ ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে কলেজে গেছেন। বাসায় বলে গেছেন তিনি কলেজে হাজিরা দিয়ে পাবনায় ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে কলেজ হয়ে বাসায় গিয়ে দুপুরের খাবার খাবেন। দুপুরে বাসায় না আসায় তার ফোনে কল দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ভেবেছিলাম নামাজে গিয়ে হয়তো ফোন বন্ধ রেখেছে কিন্তু ছোট ছেলে বাসায় গিয়ে জানায় আব্বুকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন বন্ধ থাকায় কলেজের কোন শিক্ষখ তাকে পাচ্ছেন না। কলেজে খুঁজে না পেয়ে থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরী করেছি। তিনি আরও বলেন, জানামতে মাসুদের সাথে কারো বিরোধ নাই। কেন তাকে পাওয়া যাচ্ছে না কোনভাবেই বুঝে উঠতে পারছি না।
কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) পরিমল কুমার দাস জানান, মাসুদ রেজা দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছোট ছেলেকে নিয়ে কলেজে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে কলেজ থেকে বের হয়ে যান। ধারণা করেছিলাম নামাজের জন্য যাচ্ছেন । কিন্তু দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় বিষয়টি উদ্বেগের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
বনপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্ট রফিকুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে আমি কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষসহ উপস্থিত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছি। কি কারণে তিনি নিখোঁজ হতে পারেন, এমন সম্ভাভ্য কারণ বের করার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও তার সন্ধান পেতে সব ধরনের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস বলেন, শিক্ষক মাসুদ রেজাকে উদ্ধারের জন্য মোবাইল ট্রাকিংসহ সবধরনের অভিযান শুরু হয়েছে। আশা করি দ্রুতই তার সন্ধান পাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) হারুন-অর রশিদ জানান, শিক্ষক মাসুদ রেজা নিখোঁজের সময়টা খুবই কম। এসময় পর্যন্ত ব্যক্তিগতভাবে কেই কোন কাজে থাকতে পারে। তবু জিডির আলোকে আমরা অনুসন্ধান শুরু করেছি।