উপজেলার ডালবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বেতন বকেয়া থাকায় অর্ধবার্ষিক ও প্রাক-বাছাই পরীক্ষায় ১৮ শিক্ষার্থীকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নতুন বই বিতরণের সময় পাঁচশ' টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
২০১৮ শিক্ষাবর্ষের অর্ধবার্ষিক ও প্রাক-বাছাই পরীক্ষায় নবম শ্রেণির দুই, দশম শ্রেণির ১৫ ও ষষ্ঠ শ্রেণির এক পরীক্ষার্থীর বিদ্যালয়ের বেতন ও সেশন ফির সামান্য টাকা বকেয়া থাকায় গত রোববার থেকে অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অনুমতি দেয়নি বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী। অভিভাবকরা জানান,অন্যান্য বিদ্যালয়ের চেয়ে ডালবুগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বেতন অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের কথামতো অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিংয়ে পড়তে না চাইলে পরিধেয় পোশাক খুলে মারধর করার হুমকি দিয়ে থাকেন সহকারী শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। মাত্র ষাট টাকার জন্য এক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি। অনেক শিক্ষার্থী জানায়, সব শিক্ষার্থী সেশন ফি বাদেই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে নতুন বই নিয়েছে।
বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির জন্য একদিনে ২০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া হচ্ছে। বছরে অর্ধবার্ষিক এবং বার্ষিক এ দুটি পরীক্ষা নেওয়ার বিধান থাকলেও তা উপেক্ষা করে তিনটি করে পরীক্ষা নিচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষকদের অতিরিক্ত চাহিদা এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক অনিত্য কুমার হাওলাদার জানান, যেসব পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি তারা ঠিকমতো বকেয়া টাকা পরিশোধ করেনি। তাদের পরে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু আসেনি। পরে তাদের এই একটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। বই বিতরণে টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সেশন ফি-সহ টাকা নেওয়া হয়েছে এবং সে টাকার রসিদ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অনুপস্থিতির কারণে বিশ টাকা করে জরিমানা কোন খাতে ব্যয় করেন তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি ওই শিক্ষক। কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদ হোসেন জানান, বিষয়গুলো জরুরিভিত্তিতে তদন্ত করা হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।