ভূঞাপুরে শ্লীলতাহানির শিকার এক স্কুলছাত্রী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার দশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করার পর বাড়িতে ফিরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় রবিন, আকাশ ও শান্ত নামে তিন বখাটে এক স্কুলছাত্রীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। এ ঘটনায় ভয়ে সে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ধুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ির ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শান্তকে প্রধান আসামি করে রবিন ও আকাশের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রবিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও শান্ত ও আকাশ পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, হাসপাতালে মেয়েটা একটু পরপর চিৎকার দিয়ে বলছে আমাকে বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও, ওরা মেরে ফেলবে। ওই যে ক্ষুর (দেশীয় অস্ত্র) নিয়ে আসছে আমাকে মেরে ফেলবে।
ধুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুল ইসলাম জানান, এর আগেও ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো বখাটেরা। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে এসে বখাটেদের অভিভাবকরা ক্ষমা চাওয়ায় মীমাংসার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। ফের ওই ছাত্রীকে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এতে মেয়েটা মানসিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তৌফিক এলাহি জানান, ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ফলে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার ভেতরে ভয় কাজ করছে। মাঝে মাঝে বিলাপ করছে। বর্তমানে তার অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দু’ একদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা বোঝা যাবে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজয় দেবনাথ জানান, থানায় অভিযোগ করার পর রবিন নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।