বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হতে ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাসী জাতীয় পর্যায়ের ১০ টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ মোর্চা “বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশনের নেতারা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো বিবৃতিতে এ আহবান জানানো হয়।
বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমিতি ফেডারেশন ও সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ফেডারেশনের নেতারা বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন হতে কর্তনকৃত ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশসহর্ মোট ১০ শতাংশ কর্তন করার যে আদেশ জারি করা হয়েছে তা বেসরকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের মতামতের কোন তোয়াক্কা করা হয়নি। নতুন শিক্ষা মন্ত্রীকে বিতর্কিত করার জন্য একটি মহল চক্রান্ত করছে এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিভ্রান্ত করে শিক্ষাঙ্গনকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে বলে শিক্ষক নেতারা মনে করেন। ইতিপূর্বেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের সময়েও এই মহলটি ১০ শতাংশ কাটার আদেশ জারি করেছিল এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে সেই আদেশ বাতিল করা হয়েছিল।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত গত ১৫ এপ্রিল জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ শিক্ষক ও কর্মচারীদের এপ্রিল/২০১৯ মাসের বেতন হতে যথাক্রমে ৬ শতাংশ এবং ৪ শতাংশ টাকা জমা গ্রহণ করা হবে।