স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের ফান্ডে ৬ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের আদেশের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) নেতারা। অবিলম্বে এ আদেশ বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হবেন তারা। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. বজলুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কাওছার আলী শেখ, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।
এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা ছাড়াই আমলাতান্ত্রিক জটিলতার মারপ্যাঁচে শিক্ষাব্যবস্থা সরকারিকরণের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের চাঁদার হার ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশ জারি করা হয়। এরপর সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তা স্থগিত করা হয় চাঁদা বাড়ানোর ওই আদেশ। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে পুনরায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ অবসর-কল্যাণের চাঁদা কর্তনের আদেশ জারি করা হয়। কিন্তু পরে বিজ্ঞপ্তিটি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল পুনরায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ চাঁদা কর্তনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে আদেশ দেয়ায় সারা দেশের মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, আলী আসগর হাওলাদার, বেগম নুরুন্নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু জামিল মো. সেলিম, মো. আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, অর্থ সম্পাদক মোস্তফা জামান খান, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, সহদপ্তর সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহমিদা রহমান, সহমহিলা বিষয়ক সম্পাদক শা