দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সব স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিভিতে পাঠদান করা হচ্ছে। সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে শুরু ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সংসদ টিভিতে প্রাথমিকের ক্লাস এবং ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস প্রচার করা হচ্ছে। দুপুর ২টা ১০মিনিট থেকে শুরু হয়ে বেলা ২টা ৪৩মিনিট পর্যন্ত এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের ক্লাস সংসদ টিভিতে প্রচার করা হবে।
জানা গেছে, সোমবার (১১ মে) সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে শুরু ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম এ ছয় শ্রেণির তিনটি ক্লাস সংসদ টিভিতে প্রচার করা হবে। প্রতিটি ক্লাস হবে ২০ মিনিটের। সকাল ৯টা ৪০ মিনিট থেকে ১০টা পর্যন্ত থেকে ৩য় শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস প্রচার করা হবে।
১০টা থেকে ১০টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ৪র্থ শ্রেণির গণিত ক্লাস ও ১০টা ২০ মিনিট থেকে ১০টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ৫ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস পুনঃপ্রচার করা হবে।
সংসদ টিভিতে সোমবার (১১ মে) সকাল ১০টা ৪৫মিনিট থেকে মাধ্যমিকের ক্লাস সম্প্রচার করা হবে। ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ক্লাস প্রচার করা হবে।
১১টা ২৫ মিনিট থেকে ১২টা ৫মিনিট পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান ও গণিত ক্লাস প্রচার করা হবে।
১২টা ৫মিনিট থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণির বাংলা ও গণিত ক্লাস প্রচার করা হবে।
১২টা ৪৫ মিনিট থেকে ১টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত নবম শ্রেণির ইতিহাস ও ইংরেজি ক্লাস প্রচার করা হবে।
১টা ২৫ মিনিট থেকে ২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত দশম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এবং পদার্থবিজ্ঞান ক্লাস প্রচার করা হবে।
সোমবার (১১ মে) দুপুর ২টা ১০মিনিট থেকে শুরু হয়ে বেলা ৩টা পর্যন্ত এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল ৯ম ও ১০ম শ্রেণির ক্লাস। দুপুর ২টা ১০মিনিট থেকে ২টা ৪৩মিনিট পর্যন্ত এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল নবম শ্রেণির কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি এবং বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স ক্লাস প্রচার করা হবে। ২টা ৪৩মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত ভোকেশনাল দশম শ্রেণির ফার্ম মেশিনারী ক্লাস প্রচার করা হবে।
শিক্ষার্থীরা সংসদ টিভিতে এসব ক্লাস দেখতে পারবেন। এছাড়া দৈনিক শিক্ষাডটকমের অরিজিনাল ফেসবুক পেজ এবং দৈনিক শিক্ষাডটকমের অফিশিয়াল ফেসবুক গ্রুপে সরাসরি ক্লাস সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটুআইয়ের ফেসবুক পেজে ক্লাস সম্প্রচার করা হবে।
টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তাণ্ডব শেষে স্কুল খুললে শিক্ষকদের সেই বাড়ির কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।
যতদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ততদিনই টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বাসায় অবস্থান করেই ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই সংসদ টেলিভিশনে রেকর্ড করা শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
