দায়িত্বে অবহেলা করে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের ১১৪১ শিক্ষার্থীকে ফেল করানোর দায়ে দুই প্রধান পরীক্ষকের এমপিও বন্ধ এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করেছে এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটি। এ দুই পরীক্ষক হলেন বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি নিয়ামতিযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বীরেন চন্দ্র চক্রবর্তী এবং বরিশাল বিএম স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জুরান চক্রবর্তী। গত ১১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষায় বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডে হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ১১৪১ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। ফল বিপর্যয়ের বিষয়টি তদন্ত করে বরিশাল বোর্ড ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ফল প্রকাশের ৭২ ঘন্টার ভেতর সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয় এবং হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ে ফেল করা ১১৪১ জন শিক্ষার্থী পাস করে। এ ক্ষেত্রে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি নিয়ামতিযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বীরেন চন্দ্র চক্রবর্তী এবং বরিশাল বিএম স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জুরান চক্রবর্তী প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। তাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে ফল বিপর্যয় হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়। মন্ত্রণালয় থেকে তাদের এমপিও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাস থেকে তাদের তাদের এমপিও স্থগিত করে।
গত ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আপিল কমিটির সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ‘পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০’ এর ৫ ধারা অনুযায়ী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল কিনা তা বরিশাল বোর্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তবে তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল বোর্ড থেকে মামলা করার বিষয়ে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি এমপিও পুনর্বিবেচনা কমিটির সভায় উত্থাপিত হলে কমিটি বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি নিয়ামতিযুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক বীরেন চন্দ্র চক্রবর্তী এবং বরিশাল বিএম স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জুরান চক্রবর্তীর এমপিও বন্ধ রেখে তাদের বিরুদ্ধে বরিশাল বোর্ড থেকে মামলা দয়ের করার সুপারিশ করে।