বগুড়ার শেরপুরে ১২ ভুয়া দাখিল পরীক্ষার্থীসহ দুই মাদরাসা সুপারকে আটক করা হয়েছে। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুণ্ডি আয়েশা মওলা বক্স দাখিল মাদদরাসা কেন্দ্রে দাখিলের আরবী দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে তাদের আটক করা হয়। পরে আটক দুই সুপারকে একমাসের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সুপাররা হলেন- উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের মধ্যভাগ দাখিল মাদরাসার সুপার ও গুয়াগাছি গ্রামের আজিজুর রহমান ছেলে আকবর আলী (৪৯) এবং সীমাবাড়ী ইউনিয়নের নাকুয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার আবুদিয়া গ্রামের মৃত আহমদ আলীর ছেলে সেলিম উদ্দীন (৪৮)।
এদিকে আটক ভুয়া পরীক্ষার্থীদেরকে থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা হলেন- কল্যাণী বালিকা দাখিল মাদরাসার মোছা. আরমিনা খাতুন, সাথী আক্তার, সীমা খাতুন, লায়লা আক্তার, নাসিমা পারভীন, নাকুয়া দাখিল মাদরাসার আবু রায়হান, আব্দুস সালাম, কাওছার আলী, সুজন মিয়া, তাসলিমা খাতুন ও মধ্যভাগ দাখিল মাদরাসার মো. সোহাগ হোসেন ও মোছা. শ্যামলী খাতুন।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জামশেদ আলম রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘ওই মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে গোপনে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের সম্পর্কে জানতে পেরে তাদের যাচাই-বাছাই করা হয়। একপর্যায়ে প্রবেশপত্রের সঙ্গে ছবি ও নামের মিল না থাকায় ভুয়া পরীক্ষার্থী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আটক করা হয়। এছাড়া তারা প্রত্যেকেই অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসছিল বলেও স্বীকার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তাদের মাদরাসাগুলো ননএমপিও হওয়ায় সুপাররা অন্যের পরীক্ষার প্রক্সি দিতে এনেছিল। পরে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার অপরাধে ওই দুই মাদরাসা সুপারকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মাদরাসা সুপার ও ভুয়া পরীক্ষার্থীরা থানা হেফাজতে রয়েছেন। তবে ভুয়া পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।’ পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।