১৩ শিক্ষককে বদলি, তোপের মুখে আদেশ বাতিল - দৈনিকশিক্ষা

১৩ শিক্ষককে বদলি, তোপের মুখে আদেশ বাতিল

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

পদায়নের এক মাস না হতেই আদালতের আদেশের অজুহাতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষককে বদলি করা হয়। রোববার বদলি করা শিক্ষকদের তোপের মুখে ওই আদেশ বাতিল করতে বাধ্য হয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। কালের কন্ঠের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

বদলি হওয়া শিক্ষকদের অভিযোগ, চলতি বছরের ২৭ আগস্ট প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে নীলফামারী জেলার ৩২৩ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের শুন্য পদে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ওই অদেশ বলে ৬ সেপ্টেম্বর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগদান করে পদায়নের বিদ্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তারা। যোগদানের একমাস অতিবাহিত না হতেই গত ৪ অক্টোবর জেলা সদরের ১৩ জন শিক্ষককে অন্যত্র বদলির আদেশ করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওসমান গণি।

আজ রবিবার জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকরা বদলির কারণ জানতে চাইলে ওই কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাসান তারিক উচ্চ আদালতের আদেশের কথা জানান তাদেরকে। এ সময় আদেশের কপি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে ব্যর্থ হলে বিক্ষুদ্ধ উঠেন শিক্ষকরা। পরে শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়ে ওই বদলি আদেশ বাতিল করা হয়।

ওই শিক্ষকরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আদালতের আদেশের অজুহাত দেওয়া হলেও আদেশ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন ওই কার্যালয়ে কর্মরতরা। অর্থের বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ আদায়ের জন্য জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের সহকারী মনিটরিং কর্মকর্তা হাসান তারিকের যোগসাজসে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

শিক্ষকরা আরো অভিযোগ করে বলেন, হাসান তারিক নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় বিনামূল্যে বিতরণের এক ট্রাক সরকারি বই আত্মসাতের সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে দীর্ঘসময় চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। সেই হাসান তারিক একই কার্যালয়ে আবারো বহাল হয়ে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়েছেন। আমরা তার অপসারণ দাবি করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান তারিক বলেন, আমরা অফিসিয়ালি কোনো আদেশ পাইনি। তবে দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষকরা আদালতের ওই স্থগিতাদেশের ফটোকপি দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী বদলি করা হয়েছে। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে রবিবার ওই বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। শিক্ষকদের নানা অজুহাতে হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

এ বিষয়ে কথা বললে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওসমান গণি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে জাতীয়করণ হওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক হিসেবে গেজেট না হওয়ায় ওইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। জাতীয়করণ করা ওইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উচ্চ আদালতে রিট করেছেন। আদালত জেলা সদরের ১৩টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদায়নে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অফিসিয়ালী এখনো আমরা ওই আদেশ পাইনি। তবে ওই আদেশের ফটোকপি পেয়েছি। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আদালতের আদেশ না পেয়ে শিক্ষকদের বদলি করা ঠিক হয়নি। তাই জারি করা আদেশটি রবিবার বাতিল করেছি।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0076520442962646