দেশের ১৪টি উপজেলাকে মাদকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তার অংশ হিসেবে এসব উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করতে ৬ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুমোদিত অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এসব উপজেলা নির্বাচন করেছে। নির্বাচিত উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, শিক্ষার্থীদের শপথ বাক্যে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা। শ্রেণিকক্ষে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানানো। শিক্ষার্থীদের দিয়ে মাদক বিরোধী ক্লাব গঠন, দেয়ালিকা তৈরি। ক্লাসওয়ারি মাদক বিরোধী কমিটি গঠন। প্রতি তিন মাস পর পর শিক্ষক-অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন করা। সম্মেলনে মাদকাসক্ত হওয়ার সম্ভাব্য কারণ ও মাদকের কুফল নিয়ে আলোচনা করা এবং এ বিষয়ে ভিডিও প্রদর্শন। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মাদকমুক্ত করতে দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী নেয়া কার্যক্রমের অগ্রগতির তথ্য প্রতি মাসের ১০ তারিখের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে।
নির্বাচিত ১৪টি উপজেলা ৯টা জেলায় অবস্থিত। এগুলো হলো, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ, নোয়াখালীর কবিরহাট, পাবনার আটঘরিয়া, মাগুরা জেলা সদর, শ্রীপুর, মোহাম্মদপুর, শালিখা, নড়াইল জেলা সদর, কালিয়া, লোহাগড়া, ঝালকাঠি সদর, ঠাকুরগাঁও সদর, মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি এবং শেরপুরের নকলা উপজেলা।
মূলত অ্যাকশন প্ল্যানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর অনুমোদিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যানে প্রতি বিভাগে একটি উপজেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্য রয়েছে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ১৪ উপজেলা নির্বাচন করা হয়েছে। নির্বাচিত উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মাদকমুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ অধিদপ্তরগুলো থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ করতে গঠিত স্ট্র্যাটেজিক কমিটির প্রথম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে তৈরি করা হয় 'স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি অ্যাকশন প্ল্যান'। যা অনুমোদন দেয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। এ প্ল্যানের পাইলট কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রতি বিভাগের একটি উপজেলা মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হবে। এর অংশ হিসেবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৪টি উপজেলাকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।