ঢাকার ধামরাইয়ে প্রথম শ্রেণির পর এবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে গুদামঘরে আটকে জোর করে ইয়াবা বড়ি খাইয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে ধর্ষিতাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গুদামঘর থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে ধামরাইয়ের কেলিয়া গ্রামের রিপন হোসেনের মেয়ে রিমা আক্তারের বাড়িতে বেড়াতে আসে সাভারের গাজীরচট এলাকার পঞ্চম শ্রেণি পড়–য়া ওই ছাত্রী। রিমা টাকার লোভে ছাত্রীটিকে তার বন্ধু ধামরাইয়ের গাইরাকুল গ্রামের মৃত অধীর চৌধুরীর ছেলে দেবাশীষ চৌধুরীর কাছে তুলে দেয়। দেবাশীষ তার মালিকানাধীন ধামরাইয়ের আইঙ্গন এলাকার মেসার্স অর্নব এন্টারপাইজ নামে একটি গুদামঘরে আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে গত শনিবার সন্ধায় রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ রিমা আক্তারকে আটক করে। তবে মূল ধর্ষক দেবাশীষ চৌধুরী পালিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন জানান, ধর্ষণে সহযোগিতা করার অপরাধে রিমা আক্তারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং মূল ধর্ষক দেবাশীষকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত ২৪ জুন দিনের বেলায় চার বন্ধু মিলে পূর্ণিমা নামে প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পরে হত্যা করে। এছাড়াও ধামরাইয়ের বিভিন্ন গ্রামে গত এক মাসে প্রতিবন্ধীসহ কয়েকটি ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অভিভাবকরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশি তৎপরতা না থাকার কারণে এসব অপরাধ সংঘঠিত হচ্ছে।