অবসরের ১৫ বছর পরেও অবসর সুবিধার টাকা পাননি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ডিমলা পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আজগর আলী সরকার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।
জানাগেছে, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের আজগর আলী সহকারী শিক্ষক ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জানুয়ারি অবসর গ্রহণ করেন। চাকুরী করার সময় যা বেতন ভাতা পেতেন তা দিয়ে তাঁর পরিবারের ৭-৮জন সদস্য নিয়ে কোনরকমে দিন চলে যেত। অবসর গ্রহণের পর থেকে অপেক্ষায় আছেন অবসরের টাকার।
সহকারী শিক্ষক আজগর আলী দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অবসর সুবিধা অফিস সূত্রে জানতে পারি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২০ অক্টোবর আমার অবসরের টাকার চেক ইস্যু করা হয়। কিন্তু অদ্যবধি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে আমার নামে কোন চেক আসেনি।
এ ব্যাপারে ডিমলা পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, আমি ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করার পর একাধিকবার অবসরের টাকার জন্য আবেদন করা হয়। কেন যে এখন পর্যন্ত আজগর আলী অবসরের টাকা পাচ্ছেন না বুঝতে পারছিনা তবে বিষয়টি প্রাত্তন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সরকার ভাল বলতে পারবেন।
স্কুলটির প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শাহজাহান সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, অবসর সুবিধার অফিস থেকে আজগর আলীর নামে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকার চেক ইস্যু হয়। যারা চেক ইস্যু করেন তাদের ভুলে সাঘাটা ডিমলা পদুমশহর (ডি.পি) উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তে নীলফামারীর ডিমলা ঠিকানায় চলে যায়। অফিসে গিয়ে জানতে পারি চেকটি অবসর সুবিধার অফিসে সংরক্ষিত আছে। সেখানে যোগাযোগ করলে আজগর আলীর আবেদন ফাইলের রিসিভ কপি অথবা ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ আবার আবেদন করেন বলে কর্তৃপক্ষ তাদের জানান। এদিকে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার কারণে কোথায় রিসিভ কপি রেখেছেন পরবর্তীতে আজগর আলী তা খুজে পাননি। অপর দিকে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের লেজার বই-এর পাতা নষ্ট হওয়ার কারণে সাঘাটা বোনার পাড়া সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ স্টেটমেন্ট দিতে ব্যর্থ হোন সে বিষয়টিও প্রাত্তন প্রধান শিক্ষক জানান।
প্রাত্তন প্রধান শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও জানান, আমরা কোন ভুল করিনি। কর্তৃপক্ষ ভুল করেছে এ দায় তাদের।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দের এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আর আজগর আলী প্রতিষ্ঠার সময়ের শিক্ষক আর উনিই প্রথম অবসর গ্রহণ করেন। আজও অবসরের টাকা পানি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সেই সাথে কর্তৃপক্ষের সূ-দৃষ্টি কামনা করেন যাতে দ্রুত আজগর আলী অবসরের টাকাটা পান।