উচ্চশিক্ষায় ক্লাসরুমে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, তাদের শিক্ষকরা জটিল ও কঠিন বিষয়গুলো বোঝাতে পারেন। ১৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, শিক্ষকরা উপযুক্ত ও যথাযথ কারিগরি জ্ঞান নিয়ে ক্লাসরুমে আসেন। তবে মাত্র ১২ দশমিক ৯১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা পুরোপুরিভাবে নির্দেশনা বুঝতে পারে। ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, ক্লাস শেষেও তাদের প্রয়োজন হলে তারা শিক্ষকদের পায়। ২৫ দশমিক ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, তাদের শিক্ষকরা যথাসময়ে কোর্স কারিকুলাম ও সিলেবাস শেষ করেন। ৩১ দশমিক ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, শিক্ষকরা ক্লাসরুমে কার্যকরী প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। আর ৩০ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে, শিক্ষকরা ক্লাসে অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাদান করেন এবং লার্নিং মেথড ব্যবহার করেন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) ‘ক্রিটিক্যাল কনভার্সেশন ২০১৯’-এর শেষ দিনে ‘শিক্ষার মান এবং বেকার গ্র্যাজুয়েট’ শীর্ষক আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার মান এবং প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে বিআইডিএসের গবেষণার ভিত্তিতে মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন সংস্থার সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মিনহাজ মাহমুদ। এই তথ্য সংগ্রহে তাঁরা ৪২৬ থেকে এক হাজার ৪৪ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেন।
মূল প্রবন্ধে আরো বলা হয়, স্নাতকের পর একজন শিক্ষার্থী যে ধরনের চাকরি চায় সে সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে ১৭.৩৭ শতাংশের। এর মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী রয়েছে। আর স্নাতকের পর চাকরির বাজারে তার সম্ভাবনার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী।