অবশেষে নেত্রকোনার কেন্দুয়ার কলেজছাত্র জুয়েল (২২) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৯ মাস পর ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সীমা রাণী সরকার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল্লাহ্ আল মামুন কলেজছাত্র জুয়েল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত জুয়েল কিশোরগঞ্জের ওয়ালি নেওয়াজ খান কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।
জানা যায়, ইতোমধ্যে গ্রেফতার গ্রামপুলিশ হানিফ মিয়া (৪৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজেসহ আরও কয়েকজন জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযুক্ত হানিফ সান্দিকোনা গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত গ্রামপুলিশ বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ডাউকি গ্রামের সাবিজ মিয়ার ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী জুয়েল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৯ জুলাই দিবাগত রাতে নৃশংসভাবে খুন হন। পরদিন সকালে একই গ্রামের উত্তর পাড়া জামে মসজিদের পাশে ফজলুর রহমানের বসতঘরের পেছনে তার লাশ পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাবিজ মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে কেন্দুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এক পর্যায়ে মামলাটির তদন্তভার ময়মনসিংহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়া হয়। এ অবস্থায় গত সোমবার পিবিআইয়ের একটি দল কেন্দুয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রামপুলিশ হানিফ মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে গ্রেফতার হানিফ জুয়েল হত্যার সঙ্গে তিনিসহ আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে নারীঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র জুয়েলকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানা যায়। আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত হানিফ এখন নেত্রকোনা জেলা কারাগারে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের পরিদর্শক আবদুল্লাহ্ আল মামুন জানান, ইতোমধ্যে গ্রেফতার হানিফ মিয়া আদালতে জুয়েল হত্যার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে অপর সহযোগীদের নাম উল্লেখপূর্বক ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নারীঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘটিত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর
আসামিদেরও গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।