২০ বছরে পদোন্নতি না হলে একেবারেই নয় - দৈনিকশিক্ষা

২০ বছরে পদোন্নতি না হলে একেবারেই নয়

আশরাফুল হক |

কোনো সিনিয়র সহকারী সচিব বা উপসচিব চাকরিজীবনের ২০ বছরেও যদি পরবর্তী ধাপে পদোন্নতি না পান, তাহলে বাকি কর্মজীবনে তাঁর আর পদোন্নতি হবে না। ওই কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার আবেদন করলে সরকার তাঁকে পরবর্তী ধাপে অর্থাৎ উপসচিব বা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে অবসরে পাঠাবে। তবে অবসরে যাওয়ার এই আবেদন করতে হবে চাকরিজীবনের ২০ থেকে ২১ বছরের মধ্যে। এসব বিধান রেখে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পলিসির (কর্মজীবন পরিকল্পনা নীতিমালা) খসড়া করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

নীতিমালাটি গত মাসে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হলে তা আরো পর্যালোচনা করার জন্য শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি পলিসি পেপারটি দেখে দিলে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য।

নীতিমালায় সরকারি চাকরির অংশ করা হচ্ছে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ওরিয়েন্টেশন কোর্স। তবে এখনই তা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না বা পদোন্নতির ক্ষেত্রে এর জন্য কোনো পয়েন্ট রাখা হচ্ছে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, একসময় বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে। কারণ সব প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরই মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ থাকা উচিত।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার এবং সরকারের উপসচিব ও তাঁর ওপরের পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য এই ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পলিসির খসড়া তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে গঠিত জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ও কমিটিগুলো যুগোপযোগী সিভিল সার্ভিস গঠনের যেসব সুপারিশ করেছে তার আলোকেই এ নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।

সূত্র মতে, নিয়োগে মেধার প্রাধান্য, পদোন্নতিতে প্রশিক্ষণের ফলাফলের গুরুত্ব, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পদোন্নতি প্রদান এবং উদ্ভাবনী কাজের জন্য পুরস্কারব্যবস্থা থাকছে এ নীতিমালায়। এ ছাড়া খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, ডিসি পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তার বয়স হবে ৪৫ বছর। বর্তমানে ডিসি পদে নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়স ৫০ বছর নির্ধারণ করা আছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ক্যারিয়ার প্ল্যানিং অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রকিব হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পলিসির খসড়া করে জমা দিয়েছি। বিভিন্ন ধাপে অনুমোদিত হলে এসংক্রান্ত পলিসিটির অফিস আদেশ জারি করা হবে।’ 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সিভিল সার্ভিসে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং বলে কিছু ছিল না। একজন কর্মকর্তা শিক্ষাসংক্রান্ত বিষয়ে বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে যোগ দিচ্ছেন। অন্য একজন খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে যোগ দিচ্ছেন পরিকল্পনা কমিশনে। এভাবেই বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলছে আমাদের প্রশাসন। ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পলিসি হলে এসব অনিয়ম দূর হবে। পলিসির বেশ কিছু বিষয় এখন চলমান রয়েছে। সেগুলোকে একটি আমব্র্রেলার নিচে আনা হচ্ছে।’ 

জানা গেছে, ব্যক্তিগত আগ্রহ ও বাস্তব সুযোগ-সুবিধার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলাই এ নীতিমালার উদ্দেশ্য। ভিশন ২০২১, এসডিজি ২০৩০ এবং ভিশন ২০৪১-এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ন্যায়নিষ্ঠ মেধাবী, সৃজনশীল, দক্ষ, নিরপেক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক ও জনমুখী সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলাই এ নীতিমালার লক্ষ্য। দ্রুততার সঙ্গে সরকারি সেবা প্রদানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও ব্যবস্থাপনার জন্য এ নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে।  

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন সময়ে এ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। একাধিক ওয়ার্কশপ ও বিভাগীয় কমিশনারদের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের মতামত নিয়ে এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশ পর্যায়সহ অন্য সব পর্যায়ে শূন্যপদের সংখ্যা বছরভিত্তিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জানাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পেশাগত দক্ষতা বিশ্বমানে উন্নীত করার জন্য চাকরির প্রতিটি ধাপে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরিকাল, কর্মমূল্যায়ন প্রতিবেদন, বনিয়াদি প্রশিক্ষণের প্রাপ্ত নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শৃঙ্খলা প্রতিবেদন এবং সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের (এসএসবি) মূল্যায়ন বিবেচনা করে নির্দিষ্ট নম্বর বণ্টনের বিধান রাখা হয়েছে। চাকরির ২০তম বছরে উপসচিব কিংবা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেতে ব্যর্থ কর্মকর্তাকে তাঁর আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে উপসচিব কিংবা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে সব ধরনের আর্থিক সুবিধা দিয়ে অবসরে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দুর্গম এলাকায় চাকরির পরে গুরুত্বপূর্ণ জেলায় পদায়ন : খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সরকার উপযুক্ত কর্মকর্তাকে তাঁর জ্যেষ্ঠতা, একাডেমিক শিক্ষা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চাকরির অভিজ্ঞতা, বিশেষ বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা বিবেচনা করে সচিব পদে পদায়ন করবে। সমগ্র চাকরিজীবনে পাঁচ বছরের বেশি লিয়েনে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। এতে বলা হয়েছে, পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি দেওয়া হলে দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তারা উৎসাহী হবেন। এ ক্ষেত্রে প্রণোদনা হিসেবে উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি ও পুরস্কার, বিদেশে প্রশিক্ষণে প্রেরণ ও উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ প্রদান, ভালো কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদায়ন বিবেচনা, প্রশংসীনয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বৈদেশিক মিশনে পদায়নের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। দুর্গম এলাকায় পদায়নের ক্ষেত্রে পরে গুরুত্বপূর্ণ জেলায় পদায়ন করা হবে। দুর্গম এলাকায় পোস্টিংয়ের সর্বোচ্চ সময় হবে দেড় বছর। নারী কর্মকর্তাদের উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।

প্রশিক্ষণে গুরুত্ব : নীতিমালায় নবীন কর্মকর্তাদের যোগদানের পরপরই দেড় বছরের প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমিতে আইন ও প্রশাসন বিষয়ে এ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের বিভিন্ন শাখার কাজের বিষয়ে ধারণা লাভ করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধারণা পাওয়ার জন্য সার্ভে অ্যান্ড সেটলমেন্ট কোর্স করতে হবে। বনিয়াদি প্রশিক্ষণে যাঁরা ভালো ফল করবেন তাঁদের অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। এ ছাড়া সম্ভব হলে বিএমএ ওরিয়েন্টেশন কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। তবে এ কোর্স চাকরি স্থায়ীকরণের শর্ত হিসেবে নেওয়া হবে না। সহকারী কমিশনার পদে ওই সব কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, যাঁরা সাফল্যের সঙ্গে ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবেন। চাকরির পাঁচ বছর পূর্তিতে সিনিয়র স্কেল পাবেন। সে ক্ষেত্রে সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের কার্যাবলিসংক্রান্ত একটি স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

ছয় বছরে ইউএনও : নীতিমালাটি অনুমোদন পেলে চাকরির ছয় বছর পূর্তিতে ইউএনও পদে পোস্টিং দেওয়া হবে। ইউএনও পদে যোগদানের আগে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাঁরা লিয়েনে থাকার কারণে এসি ল্যান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, তাঁদের ভূমিসংক্রান্ত বিষয়ে দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ধারাবাহিকতায় সাত বছর চাকরি পূর্তিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদায়ন করা হবে। পদায়নের আগে দুই সপ্তাহের ভূমিসংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং প্রশিক্ষণের ফল পদায়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে।

উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অ্যাডভান্স কোর্স অন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব ও কৌশলগত পরিকল্পনা, সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা, বাজেট ও অর্থ ব্যবস্থাপনা, উদ্ভাবন, ই-গভর্ন্যান্স, ই-নথির ব্যবহার এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে।

যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য সিনিয়র স্টাফ কোর্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ, নীতিনির্ধারণী কর্মকৌশল প্রস্তুতকরণ, পলিসি বিশ্লেষণ, ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট, বিনিয়োগ পরিবেশ, অর্থনৈতিক কূটনীতি, সরকার পরিচালনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য পলিসি প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কোর্স (পিপিএমসি) বাধ্যতামূলক করা হবে। এ ছাড়া অন্যান্য প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিতে হবে।

বৈদেশিক উচ্চতর ডিগ্রি এবং শিক্ষাজীবনের সব পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণি বা বিভাগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পদায়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে নিযুক্ত ক্যাডার কর্মকর্তাদের সরকারি বৃত্তি ও উচ্চতর বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে প্রেষণে নিযুক্ত কর্মকর্তারা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা ভাতা পাবেন। পদায়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের ফল বিবেচনায় নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে শতকরা ৭৫ ভাগ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

পদোন্নতির ক্ষেত্রে নম্বর : উপসচিব পদে পদোন্নতিতে সিনিয়র সহকারী সচিব বা সমমর্যাদার পদে পাঁচ বছরের সন্তোষজনক চাকরির জন্য ১০ নম্বর, কর্মমূল্যায়ন প্রতিবেদনে ৫০ নম্বর, বনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য ১০ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০ নম্বর, শৃঙ্খলা প্রতিবেদনে ১০ নম্বর এবং এসএসবির মূল্যায়নের জন্য ১০ নম্বর থাকবে। যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতিতে উপসচিব পদে তিন বছর চাকরির জন্য ১০ নম্বর, কর্মমূল্যায়ন প্রতিবেদনের জন্য ৫০ নম্বর, প্রশিক্ষণের মূল্যায়নে ১০ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০ নম্বর, শৃঙ্খলা প্রতিবেদনে ১০ নম্বর এবং এসএসবির মূল্যায়নে ১০ নম্বর থাকবে। অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতিতে যুগ্ম সচিব পদে দুই বছরের চাকরির জন্য ১০ নম্বর, কর্মমূল্যায়ন প্রতিবেদনে ৫০ নম্বর, প্রশিক্ষণের মূল্যায়নে ১০ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার ১০ নম্বর, শৃঙ্খলা প্রতিবেদনে ১০ নম্বর এবং এসএসবির মূল্যায়নে ১০ নম্বর থাকবে।

ডিসি পদে একাধিক জেলায় ৪ বছরের বেশি নয় : মাঠপর্যায়ে ইউএনও হিসেবে পাঁচ বছর, এডিসি হিসেবে দুই বছর এবং ভূমি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিজ্ঞ উপসচিবদের মধ্য থেকে জেলা প্রশাসক বা ডিসি নির্বাচন করা হবে। একজন ডিসি এক জেলায় তিন বছর এবং একাধিক জেলায় চার বছরের বেশি থাকতে পারবেন না। বর্তমানে তিন বছরের বেশি কারো ডিসি হিসেবে থাকার নিয়ম নেই। যুগ্ম সচিবদের মধ্য থেকে বিভাগীয় কমিশনার নিয়োগ করা হবে। তাঁদের সর্বোচ্চ বয়স হবে ৫২ বছর এবং এক বিভাগে দুই বছরের বেশি কেউ বিভাগীয় কমিশনার থাকতে পারবেন না। তবে একাধিক বিভাগে তিন বছর থাকতে পারবেন।

সচিব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, চাকরির অভিজ্ঞতা, বিশেষ বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে। কমপক্ষে তিন বছর সচিব পদে চাকরি করা কর্মকর্তাকে সিনিয়র সচিব করা হবে। মুখ্য সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব পদে পদায়নের ক্ষেত্রে তিন বছর সচিব পদে চাকরির অভিজ্ঞতার সঙ্গে মাঠ প্রশাসনে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

সূত্র: কালের কণ্ঠ

জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ - dainik shiksha পছন্দের স্কুলে বদলির জন্য ‘ভুয়া’ বিবাহবিচ্ছেদ হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা - dainik shiksha হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে - dainik shiksha সনদ বাণিজ্য : কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী কারাগারে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ - dainik shiksha উপবৃত্তির জন্য সব অ্যাকাউন্ট নগদে রূপান্তরের নির্দেশ সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন - dainik shiksha জাতীয়করণ আন্দোলনের শিক্ষক নেতা শেখ কাওছার আলীর বরখাস্ত অনুমোদন ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো - dainik shiksha ১৭তম ৩৫-প্লাস শিক্ষক নিবন্ধিতদের বিষয়ে চেম্বার আদালত যা করলো দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা - dainik shiksha তিন স্তরে সনদ বিক্রি করতেন শামসুজ্জামান, দুদকের দুই কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037710666656494