২০ হাজার টাকা কম বেতনেও আফসার শিক্ষাভবনে! - দৈনিকশিক্ষা

২০ হাজার টাকা কম বেতনেও আফসার শিক্ষাভবনে!

নিজস্ব প্রতিবেদক |
২০ হাজার টাকা কম বেতনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও শাখায় চাকরি করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা মো: আফসার উদ্দিন। পাঁচ বছর আগে শিক্ষা ভবনের এমপিও শাখায় (শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক-২) যোগ দেয়ার সময় আফসারের পদবী ছিল প্রভাষক। তিন বছর আগে প্রভাষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারি অধ্যাপক হন আফসার উদ্দিন। বিধান অনুযায়ী পদোন্নতি পাওয়ার পর ওই পদে যোগদান করতে হয়। কিন্তু মো: আফসার উদ্দিন পদোন্নতি পেয়েও তার আগের পদেই রয়ে গেছেন। পদোন্নতি পাওয়ার তিন বছর পরেও নিয়মবহির্ভূতভাবেই আগের পদে কাজ করে যাচ্ছেন।
সরকারি কলেজের একজন প্রভাষকের তুলনায় কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বেশি বেতন-ভাতা পান একজন সহকারী অধ্যাপক। সেই হিসেবে প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকা কম বেতন নিয়ে নিম্নপদে চাকরি করছেন আফসার উদ্দিন। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, পদো্ন্নতি পেয়েও তিনি কেন এবং কীভাবে তাতে যোগ না দিয়ে আগের পদে বহাল রয়েছেন?

অনুসন্ধানে জানা যায়, বেসরকারি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় এমপিওভুক্তিতে রয়েছে মধু। এই মধুর প্রতি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কতিপয় কর্মকর্তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালক বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার একজন অতিরিক্ত সচিবকে ম্যানেজ করে নিম্নপদে বহাল থেকে প্রতিমাসে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করছেন আফসার।’
 
গতকাল মঙ্গলবার (৩ জুলাই) শিক্ষা অধিদপ্তরের দ্বিতীয় তলায় আফসারের কক্ষে ভুয়া সনদে চাকরি পাওয়া সাতক্ষীরা কলারোয়া হাজী নাছির উদ্দীন কলেজের কয়েকজন শিক্ষককে দেখা যায়। ভুয়া সনদের অভিযোগে এমপিও স্থগিত হয় এসব শিক্ষকের। স্থগিত হওয়া এমপিও ছাড় করানোর ধান্দা করছেন তারা। মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সালমা জাহানের সঙ্গে হাজী নাছির কলেজের ওই শিক্ষকদের সংযোগ ঘটিয়ে দেয়ার কাজটি করছেন আফসার। এমন অভিযোগ শিক্ষা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারীর। 
 
কেন পদোন্নতি পেয়েও নিম্নপদে চাকরি করছেন, দৈনিক শিক্ষার এমন প্রশ্নের জবাবে আফসার বলেন, ‘অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ও মহাপরিচালক স্যার হয়তো আমাকে পছন্দ করেন তাই রেখে দিয়েছেন।’
 
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো: মাহাবুবুর রহমান দৈনিকশিক্ষাকে বলেন, ‘অধিদপ্তরের পদায়ন ও বদলি করার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের। আমি মাত্র ছয়মাস আগে মহাপরিচালক পদে যোগ দিয়েছি। আফসার আগে থেকেই ওই পদে ছিল।’   
 
আফসারকে কেন নিম্নপদে রাখা হয়েছে, দৈনিক শিক্ষার এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব মো: মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি এখন কথা বলতে পারব না।’
 
উল্লেখ্য, মোল্লা জালাল উদ্দিন একজন শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা। সরকারের কোটা সুবিধায় তিনি উপসচিব ও পরে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের একান্ত সচিব ছিলেন। শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বদলিতে তিনেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছেন গত কয়েকবছর ধরে। 
মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি - dainik shiksha মাধবীলতা নয়, স্কুলের নাম কচুগাড়ি পুনর্বহালের দাবি খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! - dainik shiksha খুদে শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র কেনো! এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ - dainik shiksha এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু আজ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে - dainik shiksha মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা হতে পারে জানুয়ারিতে মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা - dainik shiksha মুজিবনগর দিবসে সব স্কুল-কলেজে আলোচনা মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! - dainik shiksha মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষক নিবন্ধন সনদের ফটোকপি পোড়ানো কেমন প্রতিবাদ! কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0035679340362549