রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০০ পরীক্ষককের বিরুদ্ধে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের যোগে ভুল করার অভিযোগ উঠেছে। এমন ২০০ পরীক্ষককে আগামী এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ডটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামানিক।
জানা গেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে চলতি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নের পর নম্বর গণনায় ভুল করে ২০০ জন শিক্ষক। তারা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় নম্বর লেখা বা গণনায় ভুল করেছে। মূলত সেই ২০০ জন পরীক্ষকের খাতার নম্বরই পরিবর্তন হয়েছে। তাই বোর্ডে ৬৬ জন শিক্ষার্থীর ফলাফলে পরিবর্তন এসেছে।
এ ২০০ পরীক্ষকের গাফিলতির কারণে এমনিটি হয়েছে বলে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (২২ আগস্ট) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামাণিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা ফল প্রকাশের পরে শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ করা খাতার ফলাফল পরির্তন হয়েছে এমন পরীক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে গণনায় ভুল করা এমন পরীক্ষকের সংখ্যা ২০০ জন। তাদের আগামীতে সকল ধরনের পরীক্ষকের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পর রাজশাহী বোর্ডের ১৩ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করে। কাঙ্ক্ষিত ফল না পেয়ে ৩৪ হাজার ৭১৫টি পরীক্ষার খাতা চ্যালেঞ্জ করে শিক্ষার্থীরা। এরপর গত ১৬ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডটি ওয়েবসাইটে এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফল প্রকাশ করা হয়। এ ফলাফলে দেখা যায় শিক্ষা বোর্ডের ৬৬ পরীক্ষার্থী ফেল থেকে পাস করে। আর ফল পুনঃনিরীক্ষণে নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪ জন শিক্ষার্থী।
রাজশাহী বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রামানিক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে আরও বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখে ৭ থেকে ৮ হাজার পরীক্ষক। তাদের মধ্যে ২০০ জন পরীক্ষকের খাতায় নম্বর লেখা বা গণনায় ভুল পাওয়া গেছে। এবছর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নেই। তবে ৩৬৬ জনের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। পরদিন থেকে এক সপ্তাহ পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন নেয়া হয়। পুনঃনিরীক্ষণের মাধ্যমে শুধুমাত্র শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা নম্বর যোগে ঠিক আছে কি-না, তা যাচাই-বাছাই করে এক মাস পর সেই ফল প্রকাশ করা হয়।