২২ মাস ধরে বেতন পান না উপাধ্যক্ষ - Dainikshiksha

২২ মাস ধরে বেতন পান না উপাধ্যক্ষ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি |

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা ২২ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। ফলে তিনি পরিবারসহ আর্থিক কষ্টে আছেন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন তিনি। আবিদা সুলতানা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ডাকযোগে এ পত্র পাঠিয়েছেন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক, শিক্ষাসচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালককে এর অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।

লিখিত আবেদনে উপাধ্যক্ষ উল্লেখ করেছেন, তিনি আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বোর্ডের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি প্রথম হন। পরে ২৭ মে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগপত্র দেয়। ৮ জুন উপাধ্যক্ষ হিসেবে তাকে জুন মাসের মাত্র সাত দিনের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। কলেজ পরিচালনা পর্ষদের কোনো লিখিত সিদ্ধান্ত ছাড়াই অধ্যক্ষ তার বেতন-ভাতা বন্ধ করেছেন। তিনি ২২ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এ কারণে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে খুবই আর্থিক কষ্টে আছেন। বিষয়টি তদন্ত করে তার বেতন-ভাতা উত্তোলনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপাচার্যকে বিনীত অনুরোধ করছি।

আবিদা সুলতানা বলেন, ‘উপাধ্যক্ষ পদে বেতন-ভাতা মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত সহকারী অধ্যাপক পদের বেতন-ভাতা দেবে বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল। এরপর আমি উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করি। এখনো মান্থলি পেমেন্ট অর্ডারে (এমপিও) সহকারী অধ্যাপকের পদের বেতন-ভাতা আসছে। কিন্তু অধ্যক্ষ আমার আগের পদের বেতন-ভাতা বন্ধ রেখেছেন।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কলেজে ডিগ্রির পাঠদানের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে এখনো ডিগ্রির অনুমোদন মেলেনি। মন্ত্রণালয়ের ডিগ্রির অনুমোদনের পর এমপিওভুক্ত হলে আবিদা সুলতানা উপাধ্যক্ষ পদে বেতন-ভাতা পাবেন। কিন্তু তিনি উপাধ্যক্ষ হয়ে এখন আগের সহকারী অধ্যাপকের পদের বেতন-ভাতা চাইছেন। একজন ব্যক্তি দুটি পদে থাকতে পারেন না।’

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বলেন, আবিদা সুলতানা এখন উপাধ্যক্ষ পদে স্বাক্ষর করছেন। কাজেই তাকে আর আগের সহকারী অধ্যাপক পদে বেতন-ভাতা দেওয়ার সুযোগ নেই।

দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি - dainik shiksha দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ - dainik shiksha আকাশে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করেছে ইরান, ভিডিয়ো প্রকাশ অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন - dainik shiksha অভিভাবকদের চাপে শিক্ষার্থীরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha আমি সরকার পরিচালনা করলে কৃষকদের ভর্তুকি দিবই: প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মামলা ১২ হাজারের বেশি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে - dainik shiksha শিক্ষকদের অবসর সুবিধা সহজে পেতে কমিটি গঠন হচ্ছে শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ - dainik shiksha শিক্ষকদের শূন্যপদ দ্রুত পূরণের সুপারিশ ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল - dainik shiksha ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইসরায়েল কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0054888725280762