হবিগঞ্জ বানিয়াচঙ্গে ২৮ মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন এক প্রধান শিক্ষক। বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য সিলেট শিক্ষা বোর্ড লিখিত নির্দেশ দেয়ার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এদিকে সিলেট শিক্ষা বোর্ড বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও বানিয়াচং মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন নিয়োগ বৈধ নয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর সচিব মোস্তফা কামাল আহমদ স্বাক্ষরিত পত্রের মাধ্যমে মুরাদপুর এস ই এস ডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এর পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হলেও অদ্যাবধি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন (মহসিন) কে বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি। উল্টো এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন মহসিনকে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার ব্যাপারে ভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করছেন না বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তৈয়বুর রহমান চৌধুরী।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান, বিগত ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ এনে চূড়ান্ত বরখাস্তের জন্য আবেদন করেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট এর আপিল এন্ড আর্বিট্রেশন কমিটি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি কমিটি করে দেয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দেয়া প্রতিটি অভিযোগ ওই কমিটি খতিয়ে দেখে সিলেট শিক্ষা বোর্ড-এর কাছে তাদের তদন্তের রিপোর্ট পেশ করে। তদন্তে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। এরই প্রেক্ষিতে গত ৬ই মে সিলেট বোর্ডের চেয়ারম্যান এর আদেশক্রমে সচিব মো. মোস্তফা কামাল আহমদ এর স্বাক্ষরিত পত্রে আমাকে স্বপদে পুনর্বহালসহ বিধি মোতাবেক বেতন ভাতা প্রদানের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাওছার শোকরানা বলেন, এটা স্কুল পরিচালনা কমিটির বিষয়, এ বিষয়ে আমার কোনো করণীয় নেই।