আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৭ শিক্ষক ও ২ কর্মচারীকে দেখতে পাননি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ: রাশেদুল হক প্রধান। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে চায়না বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে সহকারী শিক্ষক রোকসানা পারভীন ও ওমর ফারুককে অনুপস্থিত পান। পরে ১০টা ৪৫ মিনিটে ফতেখাঁ কারামতিয়া দাখিল মাদরাসায় গিয়ে সেখানেও সুপার মাও. মো. গোলাম রব্বানী সহ ১৬ শিক্ষক কর্মচারীর কাউকে উপস্থিত পাননি।
অপরদিকে রাজারহাট মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নুর ইসলামকে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না পেয়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত করেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আশরাফ-উজ-জামান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ফতেখাঁর সুপারসহ শিক্ষকদের বেশ কয়েকবার শোকজ করা হয়েছিল। তারা বিষয়টিতে কোন গুরুত্ব না দিয়ে অনিয়ম করেই চলছিল। এবারে ওই প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধের জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবে।
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহ: রাশেদুল হক প্রধান দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ওইসব প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে শিক্ষকদের না পেয়ে অনুপস্থিত করেছি এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।